গণমাধ্যম বয়কট করায় আয়োজকরা তাকে দিয়েছিল টুর্নামেন্ট থেকে বহিষ্কারের হুমকি। তবে সেই অপেক্ষায় না থেকে ফরাসি ওপেন থেকে নিজেই সরে দাঁড়ালেন জাপানের টেনিস তারকা নাওমি ওসাকা। একই সঙ্গে জানালেন, আপাতত কিছু দিন টেনিস থেকে দূরে থাকবেন তিনি। ২৩ বছর বয়সী এই খেলোয়াড় সোমবার টুইটারে এক বিবৃতিতে ক্লে-কোর্টের গ্র্যান্ড স্ল্যাম টুর্নামেন্ট থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা জানান। চারবারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী ওসাকা গত সপ্তাহে বলেছিলেন, মানসিক চাপ এড়াতে ফরাসি ওপেন চলাকালীন তিনি গণমাধ্যমের মুখোমুখি হবেন না। প্রথম রাউন্ডে রোববার রোমানিয়ার পাত্রিচিয়া মারিয়া চিগের বিপক্ষে জয়ের পর পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে আসেননি তিনি। এজন্য তাকে ১৫ হাজার ডলার জরিমানা করার পাশাপাশি গ্র্যান্ড স্ল্যামের আয়োজকরা জানায়, এমন কাজ আবার করলে টুর্নামেন্ট থেকে তাকে বহিষ্কার করা হতে পারে। সবার ভালোর জন্যই আসর থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ের দুই নম্বর খেলোয়াড় ওসাকা। “এটা এমন পরিস্থিতি যা আমি কখনও কল্পনা করিনি। এখন আমার মনে হয়েছে টুর্নামেন্ট, অন্য খেলোয়াড় ও আমার নিজের ভালোর জন্যই সরে দাঁড়ানো উচিত। যাতে প্যারিসে এখন সবাই টেনিসেই মনোযোগ দিতে পারে।” “আমি কখনোই ঝামেলা হয়ে থাকতে চাইনি। মেনে নিচ্ছি, আমার সময়টা আদর্শ ছিল না এবং আমার বার্তাটি আরও পরিষ্কার হতে পারত। আরও গুরুত্বপূর্ণ হলো, মানসিক স্বাস্থ্য বা শব্দটিকে আমি হালকাভাবে ব্যবহার করব না।” তিন বছর আগে থেকে তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছেন বলে জানান ওসাকা। “সত্যি কথা হলো, ২০১৮ সালের ইউএস ওপেন থেকেই আমি মানসিক অবসাদে ভুগছি। এর সঙ্গে লড়াই করতে সত্যিই খুব কঠিন সময় কাটিয়েছি।” “আপাতত কোর্ট থেকে আমি কিছুটা সময় দূরে থাকব। কিন্তু যখন সময় হবে, তখন খেলোয়াড়, গণমাধ্যম ও ভক্তদের জন্য ভালো হয়, এমন পথ বের করতে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করব।” রোলাঁ গাঁরো থেকে ওসাকার সরে দাঁড়ানোটা ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে মনে করছেন ফরাসি টেনিস ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট মরটেন। “নাওমি ওসাকার জন্য আমরা দুঃখিত। তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। আগামী বছর তাকে আবার এই টুর্নামেন্টে দেখার অপেক্ষায় রইলাম।”