অবশেষে শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে একটি ঘর ভিক্ষা চাওয়া ষাটোর্ধ দিনমজুর মো. হেলাল মিয়ার ভাগ্যে জুটীলো সরকারের দেয়া ঘর। ২০২০-২১ অর্থ বছরে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীন ‘যার জমি আছে ঘর নেই, তার নিজ জমিতে গৃহ নির্মাণ’ উপ-খাতের আওতায় দিনমজুর হেলালের ঘর নির্মাণের জন্য ২ লাখ ৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। বুধবার ( ২ জুন) সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবেল মাহমুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের ভারুয়া গ্রামের গৃহহীন দিনমজুর মো. হেলাল মিয়ার অসহায়ত্ব নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ‘একটা ঘর ভিক্ষা চান হেলাল!’ শিরোনামে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশের পর অতিরিক্ত সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মাহবুব হোসেনের নজরে আসে। এরপর প্রকল্প পরিচালকের নির্দেশে ইউএনও রুবেল মাহমুদ হেলালের বসতভিটা পরিদর্শন করে একটি প্রতিবেদন পাঠান। ইউএনও’র পাঠানো প্রতিবেদন দেখে ১ জুন মঙ্গলবার বিকালে ঘর নির্মাণের জন্য ২ লাখ ও নির্মাণ সামগ্রী পরিবহনের জন্য ৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেন অতিরিক্ত সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মাহবুব হোসেন। বরাদ্দের পত্র পাওয়ার পর ইউএন সন্ধ্যার দিকে হেলালের বাড়িতে যান এবং তার জন্য নতুন ঘর নির্মাণের অর্থ এসেছে বলে জানান। এ সময় হেলাল মিয়া ও তার পরিবারের খোঁজ-খবর নেন ইউএনও।
ঘর পাওয়ার খবর শুনে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন হেলাল। তিনি প্রধানমন্ত্রী, প্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘সারা জীবন কষ্টই করে গেলাম। সুখ কী জিনিষ জীবনে সেটা বুঝিনি। শেষ বয়সে এসে পাকা ঘরে থাকবো জীবন কাটাবো। তিনি আরও বলেন, স্ত্রী, ছেলে-মেয়ের জন্য মাথা গোঁজার জন্য সরকারের দেয়া ঘর রেখে যেতে পারবো এটা ভাবতেই ভালো লাগছে। এখন মরেও শান্তি পাবো। আমাদের মতো গরিবের শেষ আশ্রয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হাজার বছর বেঁচে থাকুন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবেল মাহমুদ বলেন, মুজিববর্ষে কোনো পরিবার গৃহহীন থাকবে না। প্রধানমন্ত্রীর এমন দিক নির্দেশনায় প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। হেলালকে নিয়ে সংবাদটি খুব হৃদয়স্পর্শী ছিল। প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মাহবুব হোসেন স্যারের নজরে সংবাদটি আসার পর ঘরের জন্য দ্রুত বরাদ্দ দেন। দ্রুত সময়ের মধ্যেই ঘর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হবে বলে জানান তিনি।