জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে লালমনিরহাটে খোতেজা বেওয়া নামে (৬০) বছরের এক বৃদ্ধাকে পা দিয়ে পিসিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে নিহত খোতেজা বেওয়ার স্বামীর বড় ভাই (ভাসুর) শামসুল হক ও তার ছেলে, মেয়ে এবং ছেলের বউদের বিরুদ্ধে। এ সময় নিহতের দুই ছেলে আবদুল খালেক ও আবদুল মালেক মারাতœ আহত হয়। এ ঘটনায় কোহিনুর বেগম (২৫) নামে একজনকে আটক করে পুলিশের নিকট সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।
শুক্রবার (৪ জুন) বিকেলে লালমনিরহাট সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়নের মধ্য হিরামানিক গ্রামে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত খোতেজা বেওয়া একই গ্রামের মৃত সোলায়মান আলীর স্ত্রী। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শামসুল হক ও সোলায়মান আলী আপন ভাই। দির্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এমতাবস্থায় শুক্রবার বিকেলে বাড়ীর পেছনে নিজ জমিতে নিহতের ছেলে মালেকের স্ত্রী মুক্তা একটি আম গাছ লাগাতে গেলে তাতে বাঁধা দেয় শামসুল হক। পরে নিহত খোতেজা তাদের বলেন আমাদের জমিতে আমরা গাছ লাগাবো তোমরা বাঁধা দেয়ার কে.? এই কথা বলার সাথে সাথে তাকে টেনে হিচরে শামসুল হকের উঠানে নিয়ে গিয়ে তার ছেলে মেয়ে ও ছেলের বউ সকলে মিলে পা দিয়ে পিসিয়ে সেখানেই হত্যা করে। এ সময় মাকে বাঁচাতে নিহতের দুই ছেলে আবদুল খালেক ও আবদুল মালেক এগিয়ে গেলে তাদেরকেও বেধরক মারপিট করা হয়। খোতেজার মৃত্যু নিশ্চিত হলে তারা সকলে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয় লোকজন ও খোতেজার আত্মীয়স্বজন কোহিনুর নামে একজনকে আটক করে বেঁদে রাখে এবং পুলিশ এলে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন। ঘটনার পর পরই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ-সার্কেল) মারুফা জামান ও সদর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ শাহা আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ-সার্কেল) মারুফা জামান বলেন, ঘটনা জানার পর পরই পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। প্রত্যক্ষদর্শিদের বক্তব্য নেয়া হয়েছে। ঘটনা স্থল থেকে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ও হত্যার সঙ্গে জড়িত অন্য আসামীদের গ্রেফতারের পক্রিয়া চলছে।