গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা প্রশাসন, প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের উদ্যোগে ৫ জুন শনিবার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী-২০২১ উদ্বোধন করা হয়। প্রাণি সম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের (এলডিডিপি) সহযোগিতায় এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। প্রদর্শনীতে বিভিন্ন স্টলে খামারিগণ তাদের উৎপাদিত পণ্য, পাখি ও প্রাণি নিয়ে উপস্থিত ছিলেন। এতে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে অংশ গ্রহণকারী খামারিদের পুরষ্কারেরও ব্যবস্থা ছিলো।
প্রদর্শনীটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য বঙ্গতাজ কন্যা সিমিন হোসেন রিমি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসা: ইসমত আরা'র সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এ সময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোঃ আমানত হোসেন খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্, কাপাসিয়া থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ মোঃ আলম চাঁদ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রওশন আরা সরকার, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রাশেদুজ্জামান মিয়া প্রমূখ।
কিন্তু প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর স্টলে বালিহাঁস স্থান পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে জনমনে কৌতূহল ছিল একটু বেশি। পরিবেশ সচেতন কিংবা পরিবেশ নিয়ে কাজ করেন এমন সব দর্শনার্থী বালিহাঁস আনার বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। এ বিষয়ে অনেককেই নানা ধরনের মন্তব্য করতে শোনা যায়। বালিহাঁস নিয়ে অনেকেই মন্তব্য করে বলেন, বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে বালিহাঁস প্রজাতির পাখি সংরক্ষিত। একসময় আমাদের দেশের গ্রাম-গঞ্জের পুকুর, খাল, বিলে, তাল, নারকেল গাছের কোটরে বালিহাঁসেরা বসবাস করতো। বর্তমানে এদের খুব একটা দেখা যায় না। পাখি নিধনকারীদের অধিক লোভের কারণে মায়াবী এই বালিহাঁস হারিয়ে যেতে বসেছে। অথচ একসময় আমাদের দেশের খালে-বিলে, পুকুর, ডোবায় যত্রতত্র বিচরণ করতো। বালিহাঁস গৃহপালিত কোন পশু-পাখি নয়। বালিহাঁস আজ বিলুপ্তির পথে। অথচ এমন একটি পাখি প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর স্টলে স্থান পেয়েছে বলে অনেকেই হতবাক ও বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। এ ঘটনা বালিহাঁস শিকার করতে মানুষকে উৎসাহিত করবে বলে অনেকেই মন্তব্য করেন।
প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীতে বালিহাঁস কীভাবে স্থান পেল- এ বিষয়ে কাপাসিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রাশেদুজ্জামান মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, "একজন খামারী সখ করে নিয়ে আসেন। তাকেতো আমরা নিরুৎসাহিত করতে পারিনা। অনেক মানুষ বালিহাঁস দেখেনি। মানুষকে জানানোর জন্যে আনা হয়েছে। মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে বিষয়টি দেখা হয়েছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বালিহাঁস বানিজ্যিকভাবে লালন-পালন করার কোন নিয়ম নেই। বালিহাঁস ব্যক্তিগতভাবে লালন-পালন করার বিষয়ে আমাদের কোন উদ্যোগও নেই।"