কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার কল্যাণপুরে এক পীরের আস্তানায় রাশেদ (৩০) নামে এক ভক্তকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নিহত রাশেদ উপজেলার রিফাইতপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য ও হরিণগাছি গ্রামের আবদুর রাজ্জাকের ছেলে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, রাশেদ উপজেলার কল্যাণপুরের তছের উদ্দিনের আস্তানায় খাদেম হিসাবে কাজ করে আসছিল। রোববার একটি মোবাইল ফোন চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে আস্তানার ভিতরে পীরের অন্য ভক্তরা তাকে পিটিয়ে আহত করে ফেলে রাখে। বিকালে রাশেদ কে আশংকাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নেবার পথে সে মারা যায়। এ সময় পীরের ভক্তরা রাশেদের লাশ দৌলতপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে না নিয়ে এসে কৌশলে পার্শবতী ভেড়ামারা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ফেলে রেখে আসে।
ঐ দিন রাত আটটার দিকে পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে থানা পুলিশ কে জানান।
পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা আবদুর রাজ্জাক বাদি হয়ে আস্তানার পীর তছের উদ্দিন সহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ২০/২৫ জনের নামে দৌলতপুর থানায় মামলা করেছে।
নিহতের বাবা আবদুর রাজ্জাক মেম্বর জানান,তছের উদ্দিন একজন ভন্ড পীর সেজে মানুষকে ধোঁকা দিয়ে আসছে। নানা ধরণের কৌশল খাটিয়ে মানুষকে ভক্ত তৈরী করে নিজের স্বার্থ হাসিল করে চলেছে। তিনি আরো জানান, মোবাইল চুরি বিষয়টি ছড়ানো হচ্ছে। আসলে রাশেদ হয়ত পীরের গোপন জারিজুড়ি দেখে ফেলেছিল, তাই তাকে মেরে ফেলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ঐ আস্তানার পীর তছের উদ্দিনের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
দৌলতপুর থানার ওসি নাসির উদ্দিন জানান, ঘটনায় জড়িত ঐ আস্তানা থেকে ৬ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা ছলছে। তিনি আরো জানান, গ্রেফতারকৃতরা রাশেদ কে পিটিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।