রংপুরের পীরাগাছায় জমিজমা বিরোধকে কেন্দ্র করে এক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারের উপর হামলা চালিয়েছে তার আপন ভাই-ভাতিজা ও ভাড়াটিয়া লোকজন। গত ৩১ এপ্রিল রাতে বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা ছলিমুল্লাহ, তার স্ত্রী ও ছেলে বউকে বেদম মারপিট করে এবং কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে পীরগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ব্যাপারে পীরগাছা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হলেও পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার করতে পারিনি। ফলে আসামিরা বাদিকে মামলা তুলে নিতে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছলিমুল্লাহ।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার পারুল ইউনিয়নের চালুনিয়া গ্রামের মৃত আবেদ আলীর ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা ছলিমুল্লাহ (৭৪) এর সাথে জমিজমা নিয়ে তার আপন ভাই রোস্তম আলী, নওয়াব আলীর সাথে বিরোধ ও মামলা-মোকাদ্দমা চলে আসছিলো। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ৩১ মে রাত সাড়ে ৮ টার দিকে রোস্তম আলী ও নওয়াব আলী তাদের ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা ছলিমুল্লাহ এর বাড়িতে হামলা চালায়। তারা বাড়িঘরে ব্যাপক ভাংচুর করতে থাকতে। এ সময় মুক্তিযোদ্ধা ছলিমুল্লাহ, তার স্ত্রী মরিয়ম বেগম, ছেলের স্ত্রী মনিরা বেগম বাধা দিলে হামলাকারীরা তাদের বেদম মারপিট করে ছুরি দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। ঘটনার সময় হামলাকারীরা ওই বাড়ি থেকে সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা, স্বর্ণালংকার ও আসবাবপত্র লুট করে নিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে আহতদের উদ্ধার করে পীরগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ ব্যাপারে পীরগাছা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হলেও পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার করতে পারছে না।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ছলিমুল্লাহ বলেন, আসামিরা প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছে। অথচ পুলিশ তাদের ধরছে না। আসামীদের সাথে পুলিশের যোগাযোগ রয়েছে। আসামিরা আমাকে মামলা তুলে নিতে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পীরগাছা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রায়হান উদ্দিন বলেন, বিষয়টি গুরত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। আসামি পলাতক থাকায় ধরা যাচ্ছে না। তবে গ্রেফতারে জোর চেষ্টা চলছে।