পাবনায় বিদ্যুৎ লাইনে কাজ করতে গিয়ে বাচ্চু মিয়া (৪০), শাকিল আহমেদ (৩৫) নামে বিদ্যুত বিভাগের দুই লাইনম্যান ইলেক্ট্রিশিয়ানের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুন) দুপুর ১২টার দিকে পাবনা পৌর এলাকার দিলালপুর ইউনিভার্সাল ফুড লিমিটেডের সামনে ও ঈশ্বরদী ইপিজেডের স্টিল হেয়ার প্রডাক্টে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বিদ্যুৎকর্মী সদর উপজেলার গাছপাড়া গ্রামের এসকেন্দার মোল্লার ছেলে। নর্দার্ন ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) লিমিটেডের পাবনা ইউনিটে লাইনম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। শাকিল ঈশ্বরদীর সাহাপুর ইউনিয়নের চরগরগড়ি গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দা মিজানুর রহমান খান জানান, শহরের পৌর এলাকার দিলালপুর মহল্লার ইউনিভার্সাল গ্রুপ অফিসের সামনে বাচ্চু বিদ্যুতের খুঁটিতে কাজ করছিলেন। এ সময় অসাবধানতাবশত তিনি বিদ্যুতায়িত হয়ে গুরুতর আহত হলে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি এই কোম্পানিতে ৭ বছর ধরে লাইনম্যানের কাজ করতেন বলে জানান তিনি।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ জানান, নিহতের খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় নিহতের বাবা একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে নর্দার্ন ইলেক্ট্রিসিটি সাপ¬াই কোম্পানী (নেসকো) পাবনার সহকারি প্রকৌশলী রুবেল হাওলাদার বলেন, ছেলেটি আমাদের অফিসের বাহিরের কোন ঠিকাদারের সাথে কাজ করে থাকতে পারেন। এর বেশি বলতে তারা অপারগতা প্রকাশ করেন। তবে ছেলেটি বিদ্যুতের লাইনে কাজ করতে গিয়ে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন।
অপরদিকে ঈশ্বরদী ইপিজেডের সংরক্ষতি রুমে ইলেক্টিটিসিটির কাজ করতে গিয়ে শাকিল গুরুতর আহত হলে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপে¬ক্স নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আসাদুজ্জামান বলেন, কোন অভিযোগ না থাকায় মরদেহ পরিবারকে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলেও ঈশ্বরদী ইপিজেডের কোন কর্মকর্তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।