দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিল ও মৎস্য ভান্ডার হিসেবে খ্যাত চলনবিলে এসেছে বর্ষার নতুন পানি। একই সাথে বৃষ্টি হচ্ছে। নতুন পানি আসার সাথে সাথে বিল ও নদী-নালায় মা মাছ ধরতে নেমে পড়েছেন জেলেরা। নিষিদ্ধ বিভিন্ন জাল দিয়ে অবাধে মাছ শিকার করছে তারা। কিন্তু স্থানীয় মৎস্য দপ্তর বা প্রশাসন এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেনা। মা এবং ডিমওয়ালা মাছ নিধন বন্ধে এখনই স্থানীয় প্রশাসন পদক্ষেপ না নিলে আগামী দিনে চলনবিলে মাছ উৎপাদনে বড় ধরনের সংকট দেখা দিতে পারে বলে ধারনা বিশেষজ্ঞদের।
পাবনা,নাটোর ও সিরাজগঞ্জ জেলার ৮টি উপজেলা নিয়ে গঠিত দেশের চলনবিলাঞ্চলে এখন চলছে অবৈধ নানা উপায়ে মা মাছ শিকার। আর এক শ্রেণীর অসাধু জেলেরা বিলের বিভিন্ন পয়েন্টে বাদাই,চায়না ও কারেন্ট জালসহ মাছ ধরার বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে দিনে ও রাতে মা মাছ শিকার করে হাট-বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি করছে০। গত এক সপ্তাহে চলনবিলের চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, গুরুদাসপুর, সিংড়া ও ফরিদপুর উপজেলার বিভিন্ন নদী ও খালে বন্যার পানি আসায় বিভিন্ন হাট বাজার,মাছের আড়তে দেখা গেছে ডিমে পেট ভরা টেংরা,বাতাসী, পুঁটি, মলা, বোয়াল, শোল, মাগুরসহ বিভিন্ন দেশীয় প্রজাতির ডিমওয়ালা মা মাছ প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে।
স্থানীয় মৎস্য অফিস সূত্র জানায়, সাধারণত জুন-জুলাই মাসে ডিম ছাড়ে মা মাছগুলো। বর্ষা শুরু হলেই চলনবিলের মাছগুলো ডিম ফুটাতে থাকে। কিন্তু এই সময়টাতে মাছ ধরা একেবারেই নিষিদ্ধ। ১৯৫০ সালের মৎস্য আইন অনুযাযী ডিম এবং মা মাছগুলো শিকার আইনগতভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু বিলে পানি আসার সাথে সাথে মাছ শিকারে নেমে পড়েন এলাকার লোকজন ও মৎস্যজীবিরা। নষ্ট হচ্ছে ডিমগুলো।
চলনবিলে যেন রাত দিন পাল্লা দিয়ে চলছে ডিমওয়ালা মা মাছ নিধনে মহোৎসব। নদী এবং বিলের বিভিন্ন পয়েন্টে বাদাই, কারেন্ট,চায়না,খোরাজালসহ বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে ডিমে ভরপুর দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মা মাছ নিধন অব্যাহত আছে।
চাটমোহর পৌরসভায় নতুন হাটের উদ্বোধন
এফএনএস (হেলালুর রহমান জুয়েল; চাটমোহর, পাবনা) :
পাবনার চাটমোহর পৌরসভায় নতুন হাটের উদ্বোধন করা হয়েছে। গত সোমবার (১৪ জুন) সকালে চাটমোহর বাস টার্মিনালে এই হাটের উদ্বোধন করেন পৌরসভার মেয়র এ্যাড.সাখাওয়াত হোসেন সাখো। এ সময় পৌরসভার কাউন্সিলরবৃন্দ,কর্মকর্তা-কর্মচারী,রাজনীতিবিদ,সাংবাদিক,ব্যবসায়ী ও সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।
পৌরসভার এই নতুন হাটে গরু,মহিষ,ছাগল,পুরাতন মোটরসাইকেল,কাঁচা তরিতরকারি,নিদ্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী বেচাকেনা হয়। পৌর মেয়র নিজেও কিছু পণ্য ক্রয় করেন। সপ্তাহের প্রতি সোমবার এই হাট বসবে। হাটে আগত ব্যবসায়ীদের নানাবিধ সুবিধা প্রদানসহ কোন প্রকার টোল বা খাজনা আদায় করা হবে না বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।