করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চীনের দেয়া উপহার হিসেবে সিনোফার্মের ১২ হাজার ডোজ ভ্যাক্সিন শেরপুরে এসে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। শুক্রবার (১৮ জুন) দুপুরে ভ্যাক্সিন পৌঁছানোর তথ্য নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন ডা.এ.কে.এম.আনওয়ারুর রউফ। তিনি জানান, সিনোফার্মের ১২ হাজার ডোজ ভ্যাক্সিন এসেছে। এই ১২ হাজার প্রথম ডোজ হিসেবে ৬ হাজার মানুষ দিতে পারবেন। বাকী ৬ হাজার ॥ ভ্যাক্সিন এই প্রথম ডোজ গ্রহণকারীরা আবার গ্রহণ করবেন। ১৯ জুন থেকে শেরপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের কোভিড-১৯ টিকা দান কেন্দ্র থেকে চীনের তৈরি সিনোফার্ম ভ্যাক্সিন দেয়া হবে। এইবারের ভ্যাক্সিন অগ্রাধিকার দেয়া হবে যাদের, যারা এই কেন্দ্র থেকে পূর্বের্ ভ্যাক্সিন নেয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন কিন্তু নিতে পারেননি, সরকারি স্বাস্থ্য কর্মী ও পুলিশ সদস্যরা যারা পূর্বে ভ্যাক্সিন নিতে পারেন নি, বিদেশগামী বাংলাদেশী অভিবাসী কর্মী, সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজের শিক্ষার্থীগন, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের শিক্ষার্থীগন, সরকারি নার্সিং ও মিডওয়াইফারি, সরকারি ম্যাটস এবং সরকারি আই,এইচ,টি এর শিক্ষার্থীগন ও কোভিড-১৯ মৃতদেহ সৎকার কাজে নিয়োজিত কর্মী যারা পূর্বে ভ্যাক্সিন নিতে পারেন নি।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে জেলায় ইতঃপূর্বে শেরপুর জেলা হাসপাতালে ভ্যাক্সিন গ্রহনের জন্য ২০ হাজার মানুষ রেজিষ্ট্রেশন করেছিলেন। এরমধ্যে ৫ হাজার মানুষ ভ্যাক্সিন নিতে পারেননি। এবার তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। অপরদিকে জেলার ১২ হাজার মানুষ প্রথম ডোজের ভ্যাক্সিন নিলেও তারা দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাক্সিন নিতে পারেননি। এখন অন্য কোম্পানীর টিকা নিতে গেলে তাদেরকে নতুন করে অন্য কোম্পানীর প্রথম ডোজের টিকা নিয়ে পরে দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিতে হবে। তবে এবারের টিকা তাদেরকে দেয়া হবে না বলে জানান জেলা সিভিল সার্জন।
টিকা হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন, শেরপুরের সহকারী কমিশনার মো.মাহমুদুল হাসান, ডিআইও(১), ডিএসবি মো.আবুল বাশার মিয়া, জেলা তত্ত্বাবধায়ক (ড্রাগ) সাখাওয়াত হোসেন রাজু আকন্দসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।