মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রম ২য় পর্যায়ে বাগেরহাটে ৪৩৪ জন ভূমিহীন পরিবারের মাঝে ঘরের চাবি ও জমির দলি হস্তান্তর করা হয়েছে। রোববার (২০ জুন) দুপুরে বাগেরহাট জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে বাগেরহাট সদর উপজেলার ৮৮ জন ভূমিহীণ পরিবারের হাতে ঘরের চাবি ও দলিল তুলে দেন বাগেরহাট সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সরদার নাসির উদ্দিন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ মোছাব্বেরুল ইসলামসহ উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও জেলার অন্যান্য উপজেলায়ও একইভাবে ভূমিহীনদের মাঝে এই ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়।
এর মধ্যে কচুয়া ১৭, রামপালে ৪০, মোংলায় ৫০, মোল্লাহাটে ৬০, চিতলমারী ৫০ ফকিরহাটে ১‘শ, মোরেলগঞ্জে ২৫ এবং শরণখোলা উপজেলায় ৪টি ঘর রয়েছে। বিকেলেই পাকা ঘরে উঠবেন ঘরপ্রাপ্তরা। দীর্ঘদিন ভূমিহীণ থাকার পরে ঘর পেয়ে খুশি ভূমিহীন হতদরিদ্ররা।
উপকারভোগী প্রত্যেকটি পরিবার দুই শতক জমির সাথে ৫‘শ বর্গ ফুটের একটি পাকা বাড়ি পাবেন। এই পাকা ঘরে থাকবে দুটি বেডরুম, একটা কিচেন, একটা ইউটিলিটি রুম একটি টয়েলেট এবং একটা বারান্দা। প্রতিটি সেমিপাকা ঘর নির্মানে ব্যয় হয়েছে এক লক্ষ ৯১ হাজার টাকা।
এর আগে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রম প্রথম পর্যায়ে বাগেরহাটে ৪‘শ ৩৩ জন ভূমিহীনকে দুই শতক জমিসহ পাকা ঘর দেওয়া হয়েছিল।
অপরদিগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন এসব ঘরের চাবি ও কবুলিয়ত দলিল সুবিধাভোগীদের হাতে তুলে দেন। এর পূর্বে সকলে প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও করফারেন্সে এসব ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক মোজাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাহিমা ছাবুল, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. দিলদার হোসেন, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিনয় কুমার রায়, বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তা, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও গণমাধ্যম কর্মীরা এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।