জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে মেডিকেল অ্যাসিসটেন্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) নির্মান কাজে ব্যাজের গোড়ালী ও মেঝেতে বালুর পরির্বতে মাটি, নি¤œমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। ম্যানেজারের দাবী বালু দিয়ে ভরাট করা হয়েছে, বালু সরবরাহকারী বলছে ঠিকাদারের ম্যানেজার মাটি’ই চেয়েছেন।
¬
জানা গেছে, জয়পুরহাট স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে নির্মানাধীন ২০২০ সালে মেডিকেল অ্যাসিসটেন্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) ক্ষেতলাল পৌর এলাকার বটতলী বাজার সংলগ্ন ২.৯৭ একর জমি অধীগ্রহণ করে নির্মান শুরু করেন। ওই ম্যাটস নির্মান কাজের দায়িত্ব পান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স এমএস এন্টারপ্রাইজ, ময়মনসিংহ। ওই প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী জনৈক খন্দকার মাহবুব। যার নির্মান ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০ কোটি ৫৬ লক্ষ ৮১ হাজার ৭ শত ৮৪ টাকা। গত বছরের ৭ জুন এ নির্মান কাজের উদ্বোধন করেন জয়পুরহাট-২ আসনের এমপি, হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার আসাদুজ্জামান জানান, স্থানীয় দলীয় কয়েকজন লোকজনকে এই প্রজেক্টে বালু, ইট, কাঠ সরবরাহের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তারা এই প্রজেক্টের নির্মান কাজের শুরু থেকে সেগুলো সরবরাহ করছেন। এ কাজ তদারকি করছেন জয়পুরহাট জেলা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রকৌশলী ও আমি নিজে। আমার আরো দুই সহযোগী রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ওই নির্মানাধীন ম্যাটসের ব্যাজ ঢালাইয়ের গোড়ালী থেকে সাড়ে ৮ফুট উচ্চ মেঝে ভরাট করার জন্য বালুর পরির্বতে মাটি দিয়ে ভরাট করা হয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠান থেকে বালুর মূল্য নিয়ে কম মূল্যে মাটি দিয়ে ভরাট করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আবার মেঝে সাটারিং ও আরসিসি ঢালাইয়ের পরির্বতে মাটি দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে। ইটের সলিং বিছিয়ে নি¤œমানের বালু ও ইটের খোয়া দিয়ে ছয় ইঞ্চির পরির্বতে তিন ইঞ্চি ঢালাই করছে। ওই ম্যানেজার বলেন, মেঝে ভরাটের কোন নির্দেশনা নেই, সাটারিং আরসিসি ঢালাইয়ের নির্দেশনা আছে। কাজটি সহজ করার জন্য মেঝে ভরাট করা হয়েছে। এতে ঠিকাদারের অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে। সাংবাদিকগণ চলমান কাজের তদারকিতে জয়পুরহাট জেলা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রকৌশলী বা তার কোন প্রতিনিধিকে দেখতে পাননি।
মাটি সরবরাহকারী আবু বক্কর সিদ্দিক রেজা, ইমাম হোসাইন ও এসএম আব্দুল্লাহ্ জানান, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার আসাদুজ্জামান আমাদের কাছ থেকে বালু নয়, মাটি চেয়েছেন তাই আমরা মাটি দিয়েছি সে গুলো দিয়ে মেঝে ভরাট করেছে।
নির্মানাধীন ম্যাটস এ মাটি নাকি বালু ব্যবহারের নিদের্শনা রয়েছে এ বিষয়ে জানতে জয়পুরহাট জেলা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারি প্রকৌশলী মাহিনুর ইসলাম এর সঙ্গে কথা হলে প্রশ্নটি এড়িয়ে গিয়ে তিনি জুন মাসের ব্যস্ততা দেখিয়ে জয়পুরহাট অফিসে দেখা করতে বলেন।