পিরোজপুর জেলায় করোনা সংক্রমনের হার ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকায় ২৬ জুন শনিবার থেকে জেলার ৪টি পৌর এলাকায় এক সপ্তাহের জন্য জনসাধারনের চলাচল সীমিতকরণসহ বিধি নিষেধ জারী করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক ও করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে এক জরুরী সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ৪টি পৌর এলাকা হলো পিরোজপুর পৌরসভা, স্বরুপকাঠী পৌরসভা, ভান্ডারিয়া পৌরসভা ও মঠবাড়িয়া পৌরসভা।
জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, ২৬ জুন থেকে পরবর্তী ৭ দিন জন সাধারনের চলাচল সীমিতকরণসহ সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত হাট-বাজার দোকান পাট খোলা থাকবে। ৭দিনের অবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে।
জেলা প্রশাসক জানান, জেলায় চলতি জুন মাসে এ পর্যন্ত ২৪০ জন করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে। গত এক সপ্তাহে ৩০৯ টি স্যাম্পলের মধ্যে ১১৩ জন সনাক্ত হয়েছে এবং বুধবার ১০৯ টি স্যাম্পলের মধ্যে ৫২ টিস্যাম্পল পজেটিভ পাওয়া গেছে। যে কারণে জেলার ৪টি পৌরসভা এলাকায় এ বিধি নিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পিরোজপুর স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে জেলার ৭টি উপজেলায় গত ২৪ ঘন্টায় ১০৯ জনের স্যাম্পল সংগ্রহ করে করোনা পরক্ষার জন্য পাঠানো হলে ৫২ জনের করোনা সনাক্ত হয়। এর মধ্যে পিরোজপুর পৌর এলাকায় সনাক্তকৃত ৩০ জন। এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় পিরোজপুরে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়।
অনেক রোগী ও রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করেছেন পিরোজপুর জেলা হাপাতালে করোনা ওয়ার্ড থাকলেও তেমন সেবা পাওয়া যাচ্ছেনা। শুধুমাত্র অক্সিজেন দিয়েই ফেলে রাখা হচ্ছে করোনা আক্রান্তদের। এতে রোগীদের অবস্থা আরো বেশি খারাপের দিকে যাচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের।
এ ব্যাপারে পিরোজপুরের সিভিল সার্জন সিভিল সার্জন ডা: মো: হাসনাত ইউসুফ জাকী জানান, হাসপাতালে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডাক্তার না থাকার কারণে এবং কয়েকদিন ধরে করোনা রোগীর চাপ বাড়ায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তিনি জানান, প্রতিদিনই রোগীরসংখ্যা বাড়ছে। বর্তমানে জেলায় সংক্রমনের হার শতকরা প্রায় ৩৭ ভাগ। তিনি বলেন, পিরোজপুর হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ডে ৩২ টি বেডসহ সেন্ট্রাল অক্সিজেনের ব্যবস্থা রয়েছে।