ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে আমতলী উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের চার’শ পানের বরজে লবন পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। এতে অন্তত অর্থ কোটি টাকার ক্ষতিহয়েছে বলে জানান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সিএম রেজাউল করিম। পান চাষিরা সরকারের কাছে আর্থিক সহায়তার দাবী জানিয়েছেন।
জানাগেছে,ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে পায়রা নদীতে বিপদসীমার উপরে ৬২ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে নদী সংলগ্ন আমতলী পৌরসভাসহ উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে গেছে। লবন পানিতে উপজেলার চার’শ পানের বরজে পানি ঢুকে নষ্ট হয়ে গেছে। এতে ক্ষয় ক্ষতির পরিমান অন্তত অর্থ কোটি টাকা বলে জানান উপজেলা কৃষি বিভাগ। পান চাষিরা বলেন, বন্যার লবন পানি পান বরজে ঢুকে পানের লতা পঁচে যাচ্ছে। এতে তাদের বেশ সর্বনাশ হয়েছে। মাটি লবনাক্ত হয়ে যাওয়ায় ওই জমিতে এ বছর আর পান চাষ করা সম্ভব হবে না বলে জানান চাষিরা।
গুলিশাখালী ষোল হাওলাদার গ্রামের পান চাষি হিরু হাওলাদার বলেন, বন্যার লবন পানি ঢুকে আমার ১৮ শতাংশ জমির পান বরজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ওই জমিতে এ বছর আর পান চাষ করা যাবে না। এতে আমার অন্তত দুই লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে।
একই গ্রামের জামাল হাওলাদার বলেন, বন্যার লবন পানি পান বরজে প্রবেশ করে সব শেষ হয়ে গেছে। তিনি আরো বলেন, আমার পান বরজই সম্ভল। সেই সম্ভল শেষ হয়ে গেল।
আমতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সিএম রেজাউল করিম বলেন, বন্যার লবন পানিতে তলিয়ে উপজেলার চার’শতাধিক পানের বরজ নষ্ট হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এতে অন্তত অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।