মোর কোন জমিও নাই, ঘরও নাই, থাকার মত কোন স্থান নেই। আমি কোন মতে অন্যের জমিতে পলিথিন দিয়ে খুপড়ি ঘর বানিয়ে থাকি। রাতে ঘুমাতে পারিনা, কারণ বৃষ্টির দিনে ছিদ্র চালা দিয়ে ঘরের কাতা-বালিশসহ সব কিছু ভিজে যায় পানিতে।
ঝড় হলে এ ঘরে থাকতে পারিনা, উলোটপালট করে দিয়ে যায় সব। তহন আশ্রয় নিতে হয় শহরের কোন দোকানের বারান্দায়। এ রকম নানামুখি সমস্যা নিয়ে চোখের জ¦ল ফেলে কথা গুলো বলছিলেন মোমেনা বেগম। বর্তমানে তার বয়স ৭০ বছর। সে কোন কাজকর্মও করতে পারেনা। একদিকে খেতেও পারিনা অন্যদিকে মাথার গোজার ঠাইও নাই। রোদ, বৃষ্টি, ঝড়, শীত সবই মাথার উপর দিয়া যায়। আমার ভাগ্যে আজ পর্যন্ত একখানা ঘর জুটলোনা।
মোমেনা বেগম (৭০)। বয়সের ভারে নূয়ে পড়েছে। ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করেন। আপনজন বলতে শহরে তার কেউই নেই। বসবাসের জন্য কুপড়ি একটি ঘর আছে। ঘরটিতে আলো জ¦লে না প্রায় ১০ বছর। জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে মোমেনা বেগম মৃত্যুর প্রহর গুণছে। জ¦র গায়ে পড়ে আছে বেশ কয়েকদিন। করোনার ভয়ে এগিয়ে আসেনি কেউ। মোমেনা বেগম কালীগঞ্জ শহরের আড়পাড়া নতুন বাজারে রেলওয়ের জায়গায় কুপড়ি ঘরে বসবাস করেন। জীবিকার প্রয়োজনে প্রায় ২০ বছর পূর্বে সাতক্ষীরা এলাকা থেকে কালীগঞ্জ শহরে আসে মোমেনা বেগম। সন্তান কিংবা আত্মীয়স্বজন কেউই খোঁজ রাখেনা মোমেনা বেগমের। সারাদিন ভিক্ষা করে যা হয় তাই দিয়ে চলে মোমেনার সংসার। মোমেনা বেগমের বেঁচে থাকার আকুতি আর আর্তনাদ। বর্তমানে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে মোমেনা বেগম। হাটাচলা ঠিকমত করতে পারে না। তার কুপড়ি ঘরে কোন বাতি জলে না প্রায় ১০ বছর, এভাবে একাএকি বসবাস করছে। কুপড়ি ঘরটি অত্যান্ত নোংরা পরিবেশ তার পর কোন উপায় নেই তার। জীবন বাজি রেখেই বসবাস করতে হয়। শরীরে জ¦র হয়েছে বেশ কয়েকদিন এখন ভীক্ষা ও করতে পারছে না। করোনা রোগির ভয়ে কেউ এগিয়ে আসছে না তার কাছে। অবশেষে রোববার রাতে সাংবাদিক মিঠু মালিতা ও মানিক ঘোষ খবর পেয়ে মোমেনার বাড়িতে যান ও তার চিকিতসার দায়ত্ব গ্রহন করেন। সোমবার সকালে ১০ টার দিকে স্থানীয় সাংবাদিক, কালীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি জামির হোসেন, এনজিওকর্মী শিবুপদ বিশ^াস, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাকে কালীগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করে।
বৃদ্ধা মোমেনা বেগম বলেন, এই দুনিয়াতে কার খবর কেডা রাখে একখান ঘরের জন্য অনেকের কাছে গেছি কেউ কথা রাখেনি। সাতক্ষিরা কোন এলাকার মানুষ তাও বলতে পারছে না। জীবন মৃত্যুক্ষনের মত কুপড়ি ঘরে পড়ে আছে।জীবিকার প্রয়োজনে প্রায় ২০ বছর পূর্বে সাতক্ষীরা এলাকা হতে কালীগঞ্জ শহরে আসে মোমেনা বেগম। সন্তান কিংবা আত্মীয়স্বজন কেউই খোঁজ রাখেনা মোমেনা বেগমের। সারাদিন ভিক্ষা করে যা হয় তাই দিয়ে চলে মোমেনার সংসার। মোমেনা বেগমের বেঁচে থাকার আকুতি আর আর্তনাদ।বর্তমানে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে মোমেনা বেগম। তবে পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ মোমেনা বেগমকে একটি কার্ড করে দিয়েছেন।