চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের কাজিগ্রাম এলাকার সাত মোহাম্মদের ছেলে আবদুস সালাম। গত দুই বছর ধরে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার অভাবে অসহনীয় যন্ত্রণায় দিনাতিপাত করছেন। ২০১৯ সালে সালামের ক্যান্সার রোগ ধরা পড়ে। তার অন্ডকোষে টিউমার থেকে পরবর্তীতে ক্যান্সারের রুপ নেয়। বর্তমানে অর্থের অভাবে চিকিৎসা করতে পারছেন না তিনি। দেশ বিদেশের বিত্তবানদের নিকট তার চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহযোগিতা কামনা চেয়েছেন।
ক্যান্সার আক্রান্ত আবদুস সালাম বলেন, হ্যামি দুই বছর ধরে ক্যান্সারে ভুগছি। প্রথমে হ্যামার অন্ডকোষে টিউমার হয়েছিল। তখন হ্যামি গুরত্ব দেয়নি। আস্তে আস্তে টিউমারটি বড় হয়ে যায়। এলাকার ডাক্তারদের কাছে চিকিৎসা করি। পরে তারা রাজশাহীতে ভাল ডাক্তার দেখার পরামর্শ দেয়। একদিন রাজশাহী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা করতে গিয়ে হ্যামার এ মরণব্যাধি ক্যান্সার ধরা পড়ে। বর্তমানে পপুলার ক্লিনিকের এক ডাক্তারের কাছে এখন চিকিৎসা করছি। এখনোও হ্যামি সুস্থ হতে পারেনি। তিনি বলেন, হ্যামার দু’টো অপারেশন করা হয়েছে। আরোও একটি অপারেশন করা লাগবে কিন্তু এ অর্থ জোগাড় করা হ্যামার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। এ পর্যন্ত হ্যামার ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে। হ্যার কাছে আর কোন টাকা পয়সা নেই। কয়েক কাঠা জমি ছিল সেগুলোও বিক্রি করে দিয়েছি। আর জমিজমা নেই যে, সেগুলো বিক্রি করে চিকিৎসা করাবো। শুধু বসতবাড়িটাই আছে। হ্যামার একটাই ছেলে। দিনে যেটুকু রোজগার করে আনে, তা দিয়ে সংসারটা ঢিলেঢালাভাবে চলে। এখন সে চালাতে হিমসিম খাচ্ছেন। বাড়ির নানান সমস্যা দেখা দিয়েছে। কি করব; যত দিন যাচ্ছে মৃত্যুর প্রহর গুনতে হচ্ছে। ২১ দিন পর পর হ্যামার থেরাপি লাগবে। কয়েক বার থেরাপি দিয়েছি। এখন আর দিতে পারছিনা টাকার অভাবে।
এদিকে আবদুস সালামের স্ত্রী রোজিনা বেগমের বলেন, হ্যামার স্বামী একজন কর্মঠ সবল মানুষ ছিল। ক্যান্সার হওয়ার আগে কৃষি কাজ করে সংসার ভালোভাবেই চালাতেন। কিন্তু আক্রান্ত হয়ে যাওয়ায় সেতো আর কাজকর্ম করতে পারছে না। খুব কষ্ট করে ধার দেনা করে এত দিন চিকিৎসা করানো হয়েছে। এখন একেবারেই নিঃস্ব হয়ে গেছে হ্যামার পরিবার। হ্যামার একটা ছেলে আছে, সে কাজ করে দু'বেলা দুমুঠো পেটে ভাত দিতে পারছে। চিকিৎসা করার মত টাকা জমাতে পারছি না। হ্যামার স্বামী বাঁচুক আর মরুক তাতে আমাদের আফশোস কিছু থাকবে না। কিন্তু চিকিৎসা করিয়ে মরলেতো নিজেকেই শান্তনা দিতে পারবো। হ্যামরা এলাকার কারো কাছে সহায়তা পায়নি। যদি হ্যামাদের দিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বিত্তবান ব্যক্তিরা একটু দৃষ্টি দিত তাহলে হয়তো হ্যামার স্বামীটাকে চিকিৎসা করিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসত। তাকে সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা সোনালী ব্যাংক,রহনপুর শাখা,চাঁপাইনবাবগঞ্জ,হিসাব নং- ৪৭০৭৬০১০১১২৩৯। এ ছাড়া মোবাইল ব্যাংকিং নম্বর ০১৭৬০০২৩২৯৪ (বিকাশ,রকেট ও নগদ)।