দেশে এরইমধ্যে চালু থাকা অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট বন্ধ করছে না বিটিআরসি। পহেলা জুলাই থেকে নতুন করে যেসব হ্যান্ডসেট মোবাইল নেটওয়ার্কে যুক্ত হবে, সেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে এনইআইআর- এর মাধ্যমে নিবন্ধন যাচাই করবে বিটিআরসি।
ফোন বৈধ হলে চালু থাকবে। আর অবৈধ হলে গ্রাহককে এসএমএস দিয়ে সতর্ক করা হবে। ক্রয় রশিদসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নির্ধারিত সময়ে জমা দিতে ব্যর্থ হলে তখন বন্ধ হবে হ্যান্ডসেট।
দেশে অবৈধ ও নকল মোবাইল হ্যান্ডসেটের বাজার প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার। শুল্ক ফাঁকি দিয়ে এসব হ্যান্ডসেট আমদানির কারণে প্রতি বছর ১ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারায় সরকার। এবার এসব হ্যান্ডসেট ব্যবহারের সুযোগ বন্ধ হচ্ছে পহেলা জুলাই থেকে।
ফেয়ার ইলেক্ট্রনিকস এর প্রধান বিপণন কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দীন বলেন, "এ সেটগুলো ইম্পোর্ট হলে আরো ১ হাজার কোটি টাকা পেত সরকার। এটা সরাসরি। এরপর যে ধাপে ধাপে ইনকাম ট্যাক্সগুলো পাওয়া যেত সেগুলো তো পাচ্ছে না। এগুলোর কোনো ট্রাকিং সিস্টেমই নেই।"
চালু থাকা অবৈধ ও নকল মোবাইল হ্যান্ডসেটগুলো গ্রাহকের স্বার্থে বন্ধ করবে না বিটিআরসি। তবে পহেলা জুলাই থেকে পর অনিবন্ধিত হ্যান্ডসেট চালু করলেই গ্রাহকের কাছে সেটির বৈধ কাগজপত্র চাইবে বিটিআরসি।
বিটিআরসি'র ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র বলেন, "প্রথম কথা হচ্ছে ৩০ জুন পর্যন্ত যেমন আছে ১ জুলাই তেমনভাবেই চালু থাকবে। জিনিসটা বন্ধ হচ্ছে না। বিটিআরসি’র এনইআইআর সিস্টেমের সাথে ওই সেটের ইএমআই ম্যাচ করতে হবে। যদি ম্যাচ করে যায় তাহলে ঠিক আছে, যদি না করে, তখন আপনাকে ১০ দিন সময় দেয়া হবে এর মধ্যে মেসেজ যাবে যে এই এই ডকুমেন্ট সাবমিট করুন। যদি ম্যাচ না করে তখন সংযোগ বিচ্ছিন্ন হবে।“
বিটিআরসি'র এমন উদ্যোগে হ্যান্ডসেট চুরি বা হারিয়ে গেলে অন্যকেউ সেটি ব্যবহার করতে পারবে না।
রবি আজিয়াটা'র হেড অব কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স শাহেদ আলম বলনে, "আমার নেটওয়ার্কে সমস্ত হ্যান্ডসেটের ডিটেলস থাকবে। কারো যদি ফোন হারিয়ে যায় বা চুরি হয়ে যায় তাহলে আমরা সেটা ট্র্যাক করতে পারবো এবং বিটিআরটি সেন্ট্রাল পয়েন্ট থেকে ব্লক করতে পারবে। সুতরাং বাংলাদেশে চুরি যাওয়া ফোন ব্যবহার করা যাবে না।"
ব্যবহৃত হ্যান্ডসেট অন্য কাউকে দিতে চাইলে নিবন্ধন বাতিলের আবেদন করতে হবে গ্রাহককে। তারপর অন্য সিম দিয়ে আরেকজন সেটি ব্যবহার করতে পারবে।হ্যান্ডসেটে দুটো সিম স্লট থাকলে- দুটো সিমের বিপরীতেই হ্যান্ডসেট রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। এজন্য কোনো টাকা বা ফি দিতে হবে না।
বর্তমানে বাংলাদেশে মোবাইল হ্যান্ডসেটের বাজার ১১ হাজার কোটি টাকার। প্রতি বছর চাহিদা আছে তিন কোটি ২০ লাখ মোবাইল ফোন সেটের।