খুলনার পাইকগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একই নার্স দিয়ে করোনা ও সাধারণ রোগীদের সেবা দেয়ায় আতঙ্কের মধ্যে পড়েছে সর্বসাধারণ। এদিকে ডাক্তার পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। উপজেলার ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চলছে দায়সারা ভাবে। প্রতিদিন অসংখ্য রোগী জরুরী বিভাগে আসছে। করোনা ওয়ার্ডে রোগী প্রতিদিন ভর্তি হচ্ছেন। সাধারণ ওয়ার্ডতো আছে। কিন্তু হাসপাতালে এসে বড় আতঙ্কে থাকে সাধারণ রোগী ও রোগীর সাথে থাকা স্বজনরা। একসময় জনগণের মুখে শোনা যেত হাসপাতালে গেলে সব রোগের একই ওষুধ দেয়। আর এখন করোনা রোগীদের যে সব নার্সরা দেখছেন তারাই দেখছেন সাধারণ রোগী। হসাপাতালে ১২ জন ডাক্তারের মধ্যে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দু’-একজন ডাক্তার রাউন্ড দিয়ে যাওয়ার পর আর ২৪ ঘন্টায় কাউকে পাওয়া যায় না। একজন মারাত্মক অসুস্থ রোগী আসমা খাতুন জানালো ডাক্তার পাওয়া বড় ভাগ্যের ব্যাপার। হাসপাতালে ভর্তি সকলেই জানালেন করোনা ও সাধার ওয়ার্ডে রোগীদে একই নার্সরাা দেখছেন। তাবে তাদের অনেকেই রোগীদের সাথে খারাপ আচারণ করছেন বলে অভিযোগ। বার বার ডাকার পর কোনো একসময় পাওয়া যায়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সকাল ৮ টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ১জন, দুপুর ২ টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ১ জন ও রাত ৮টা থেকে সকাল ৮ টা পর্যন্ত ২জন করে নার্স কোভিড -১৯ ওয়ার্ড ও সাধারণ ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। করোনা আক্রান্ত রোগী দেখার জন্য নেই কোনো আলাদা পোশাক। যাদের কে করোনা রোগী দেখা কালে যে ধরনের পোশাক পরিচ্ছদ পরিহিত থাকার কথা তা দেখা যায় না। শুধুমাত্র মাস্ক ও সাধারণ পোশাক ব্যবহার করছেন। রীতিমতো সকলেই এজন্য চরম আতঙ্কে সাধারণ রোগী ও রোগীর স্বজনরা। এ ব্যপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নীতিশ চন্দ্র গোলদার জানানা, আমাদের কিছুই করার নেই। চিকিৎসক সংকট। কোভিড ওয়ার্ড ও সাধারণ ওয়ার্রে রোগী একই ভাবে একই ব্যক্তিদের দ্বারা সেবা প্রদান আসলে খুবই ঝুকিপূর্ণ। উপজেলা পর্যায়ে এটা না থাকাই ভাল। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী বলেন, এ ব্যাপারে ইউএফপিএইচ ব্যবস্থা নিবেন। তবে এটা এভাবে ঠিক না।