শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে শেরপুর জেলা ছাত্রলীগের উপ-সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক হারুন অর রশিদ হারুন (২৬) কে ১ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের আড়াইআনী এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ জুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে নালিতাবাড়ীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিয়াউল হক ও অপর গ্রুপ নালিতাবাড়ী উপজেলার পরিষদ চেয়ারম্যান মোকছেদুর রহমান লেবু গ্রুপ একই দিন একই সময়ে পাশিপাশি স্থানে সমাবেশ আহবান করে। দুই গ্রুপই প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করে। ওই সময় সমাবেশে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হকসহ আরো অনেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা পরিষদ উপ-কমিটির সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশা ও নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোকছেদুর রহমান লেবুকে রাজাকারের সন্তান ও কুরুচিপূর্ন, অসামাজিক গালমন্দ ও অকথ্য ভাষা ব্যবহার করে সমাবেশে বক্তব্য দেন৷ এরই প্রেক্ষিতে হারুন অর রশিদ হারুন তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হককে ছোট রাজাকারের সন্তান বলে ফেসবুকে গত ২৪ জুন ফেস বুকে পোস্ট দেন বলে থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়। এ ঘটনার সূত্র ধরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। মামলার প্রেক্ষিতে হারুন কে গ্রেফতার করা হয়৷
গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানিয়ে শেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শোয়েব হাসান শাকিল বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাথে অভ্যান্তরিন কোন্দলের কারণে হারুন কে ফাঁসানো হয়েছে৷
নালিতাবাড়ী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বছির আহম্মেদ বাদল বলেন, ফেসবুকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক কে ছোট রাজাকারের সন্তান বলে কথা বলায় ফজলুল হক বাদী হয়ে থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেছে। সেই মামলার প্রেক্ষিতে তাকে আটক করা হয়েছে। পরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। মামলা নং-১।