কলারোয়া উপজেলার শাকদহা গ্রামে স্বামীর বসত ভিটায় নির্মানাধীন সীমানা প্রাচীর ও টয়লেট বাথরুমের নির্মান কাজ বন্ধ করার অভিযোগ উঠেছে বিধবা নারীর ভাসুরের বিরুদ্ধে। লিখিত অভিযোগে উপজেলার শাকদহা গ্রামের মৃত আবদুর রহমানের স্ত্রী বিউটি খাতুন বলেন-স্থানীয় শাকদহা মৌজায় ২৩৮নং খতিয়ানের ২০৬৭ নং দাগে আমার স্বামী মৃত আবদুর রহমান ও তার ভাই আতিয়ার রহমান অর্থাৎ আমার ভাসুরের যৌথ নামে বসত ভিটার ৩৮শতক জমি রয়েছে। তার মধ্যে আমার স্বামীর অংশের উপর দিয়ে আমার ভাসুরের বাড়িতে প্রবেশের জন্য ৮ফুট প্রস্থ একটি রাস্তা পূর্বেই দেওয়া আছে। এমতাবস্থায় আমার স্বামীর মৃত্যু পরবর্তি আমার এবং আমার দুটি সন্তান এবং একটি পুত্রবধুর নিরাপত্তা স্বার্থে আমার স্বামীর অংশের উপরে একটি টয়লেট বাথরুম ও সীমানা প্রাচীর নির্মান করিতে গেলে আমার ভাসুর আতিয়ার রহমান থানা পুলিশে অভিযোগ দিলে কলারোয়া থানার পুলিশ আমার নির্মান কাজ বন্ধ করে দেন গত ১জুলাই সকালে। যাহা খুবই দুঃখজনক। এখন আমার ভাসুর আতিয়ার রহমানের দাবী আমার জমির উত্তর পাশ দিয়ে তাদের চলাচলের জন্য জমির মাঝখান বরাবর আর একটি রাস্তা দিতে হবে যেটা দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। লিখিত অভিযোগে তিনি আরো বলেন- স্বামীর অবর্তমানে বাগান এলাকায় সন্তান সন্ততি নিয়ে বসবাস খুবই ঝুকিপূর্ণ মনে করছি। তাই জরুরী ভাবে সীমানা প্রাচীর ও বাথরুম টয়লেট নির্মানের বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার সহ স্হানীয় সকল প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এদিকে অভিযুক্ত আতিয়ার রহমান বলেন, তিনি তার বাথরুম নির্মানে কোন বাধা প্রদান করেন নি। ওই এলাকার আমিন বলেছে সরকারী রাস্তার উপর বাথরুম হচ্ছে সেই অনুযায়ী খোরদো ফাড়ির পুলিশ টহলে থাকা অবস্থায় শাকদহ বাজারে আসলে চেয়ারম্যান সাহেব ওই স্থানে চোকিদার দিয়ে পাঠান। বিউটি খাতুন তার জায়গায় বাথরুম ও প্রাচীর নির্মাণ করলে আমার কোন আপত্তি থাকবে না।