পিরোজপুরের নাজিরপুরে সরকারী গাছ কেটে নেয়ার হিড়িক পড়েছে। এ অভিযোগে ভ্রাম্যমান আদালত ২ জনকে কারাদ- প্রদান করেছেন। জানা গেছে, উপজেলার নাজিরপুর-শ্রীরামকাঠী সড়কের শ্রীরামকাঠী বন্দর সংলগ্ন মন্দিরের পূর্বপাশের রাস্তার দু’পাশের ৬টি বড় বড় মেহগিনি গাছ কেটে ফেলেছেন স্থানীয়রা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে পাকা ভবন তৈরীর জন্য রাস্তার পাশে লাগানো গাছ কেটেছেন স্থানীয় দিলীপ বড়াল ও মনমত শিকদার। স্কুল শিক্ষক দিলীপ বড়াল ৪টি গাছের মাঝ অংশ থেকে কেটে ফেলেছেন। তাকে গাছ কাটার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, বিল্ডিং তৈরীতে সমস্যার কারণে ওই গাছ কেটেছেন। এ ছাড়া মনমতন শিকদারকে তার বিল্ডিং এর সামনে রাস্তার ২টি গাছ কাটার কারণ জানতে চাইলে তিনি অফিসের অনুমতিতে গাছ কেটেছেন বলে জানান। এ ছাড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের কাটাবুনিয়া বাজারে রাস্তার পাশে থাকা ৪টি অতি পুরাতন অর্জুন গাছ মাঝ অংশ থেকে কেটে নিয়েছেন স্থানীয় আক্রাম আলী নামের এক ব্যবসায়ী। তিনি জানান, ওই গাছ পল্লীবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ কেটেছেন। তবে পল্লীবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ ওই গাছের সামান্য ডাল কেটেছেন বলে জানান। এ ছাড়া উপজেলার শেখমাটিয়া ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের সরকারী আবাসনের ৯ টি রেন্ট্রি গাছ স্থানীয় জাহিদ খানের নেতৃত্বে ফিরোজ শেখ ও আলমগীর শেখ কেটে নিয়েছেন। এ ঘটনায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. শাখাওয়াত জামিল সৈকত গত রোববার (০৪ জুলাই) বিকালে সরেজমিন পরিদর্শন করে ফিরোজ ও আলমগীর নামের ২ জনকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ১৫ দিনে করে সাজা প্রদান করেন। দন্ডপ্রাপ্ত ফিরোজ ওই আবাসনের আইয়ুব আলী শেখের ও আলমগীর জয়নুদ্দিন শেখের ছেলে।