শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের পোড়াগাঁও গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ জলিলের দখলীয় ৩৫ শতাংশ সরকারী পরিত্যাক্ত সম্পত্তি একই এলাকার জাফর আলী গং নামের ব্যাক্তির বিরোদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পোড়াগাঁও গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা আঃ জলিল ১৯৭৪ সাল হতে সরকারী পরিত্যাক্ত ৭৫ শতাংশ সম্পত্তির মধ্যে ৪০ শতাংশ জায়গায় বাড়ী করে বসবাস করছেন। আর সাথেই থাকা দক্ষিন পাশে বাকি ৩৫ শতাংশ জমি অভিযোগে থাকা জাফর মিয়ার পিতা মৃত কামাল মিয়ার দখলে ছিল। সেটি ঢাকার বসবাসরত টিটু নামে ব্যাক্তির নিকট জাফরের পিতা মৃত কালাম উদ্দিন দখল সূত্রে বিগত ৬ বছর পূর্বে বিক্রি করে দেয়। এরপর ওই বছরই ঢাকার টিটু নামের ব্যাক্তি ভূমিহীন বীরমুক্তিযোদ্ধা হিসাবে আঃ জলিল কে জমিটি টিটু দান করে চলে যায়। এরপর মুক্তিযোদ্ধা আঃ জলিল এটি ভোগ দখল করে জীবন অতিবাহিত করে আসছে বলে জানায়। পরবর্তীতে এই সম্প্রতি একই এলাকার মৃত কামাল উদ্দিনের ছেলে জাফর আলী এই জমিটিতে দখলে যায়। এই নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও জাফরের মধ্যে জমি নিয়ে বিবাদ শুরু হয়। পরে পোড়াগাঁওয়ের মৃত কামাল উদ্দিনের ছেলে জাফর, পোড়াগাঁও ওর্য়াড মেম্বার হামিদুল ও জড়িপ ফকিরের ছেলে বাবুল মিয়ার নামে মুক্তিযোদ্ধা আঃ জলিল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে নালিতাবাড়ী থানার এএসআই ফারুক হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
বীরমুক্তিযোদ্ধা আঃ জলিল বলেন, আমি একজন গরীব অসহায় ভূমিহীন বীরমুক্তিযোদ্ধা। আমার কোন জমি জমা নাই। আমি ১৯৭৪ সালে এখানে ৪০ শতাংশ জমিতে বসত বাড়ী করে বসবাস করছি। আর ওই ৩৫ শতাংশ জমি ৬ বছর পূর্বে সেই ঢাকার টিটু নামের ব্যাক্তি গরীব মানুষ হিসাবে দান সত্বে আমাকে দান করে চলে যায়। সে সূত্রে আমি এখানে আছি। এবস্থায় তারা জোড় পূর্বক ভাবে জমিটি দখল চেষ্টা করছে। এদিকে ওই জমিতে আমার ছাগল গেলে ছাগলটিকে তারা বিষ দিয়ে মেরে ফেলে। আমি এর বিচার চাই। আমি দাবী হল, যেহেতু আমার কোন জমি জমা নাই। আমি ভূমিহীন মুক্তিযোদ্ধা। তাই আমি সরকারের নিকট জমিটি চেয়ে আবেদন জানিয়েছি।
পোড়াগাঁও ওয়ার্ড মেম্বার হামিদুল ইসলাম বলেন, আমার কাছে ওই গ্রামের বিভিন্ন লোকজন বিভিন্ন কাজে আসে। এখন আমার কাছে একজন আসলেই যে আমাকে জড়াতে হবে। তা কিন্তু সে ঠিক করেনি। আমার কাছে সবাই আসতে পারে।
পোড়াগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আজাদ মিয়া বলেন, বিষয়টি শুনেছি। এটি নিয়ে বসে আলাপ আলোচনা করে ব্যবস্থা নিতে হবে।
নালিতাবাড়ী থানার এএসআই ফারুক হোসেন বলেন, আমি অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনা স্থলে গিয়ে ছিলাম। করোনা ও লক ডাউনের কারণে সময় নেওয়া হয়েছে। সেখানে যাতে এটি নিয়ে কোন কথা না হয় এটি বলে আসা হয়েছে। পরবর্তীতে কাগজপত্র নিয়ে বসে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে।