শেরপুরে একদিনে নতুন করে ৬৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হলো ১ হাজার ৮৭৯ জন। আর মোট মৃত্যু হয়েছে ৩৭ জনের।
বুধবার (৭ জুলাই) সকালে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে এই তথ্য পাওয়া গেছে। মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন শহরের গৌরীপুর এলাকার অবসরপ্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন (৬০), সাতানিপাড়া এলাকার জেলা ট্রাক চালক-শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মনিন্দ্র চন্দ্র বিশ্বাস (৬২) ও নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের চকবড়ইগাছি গ্রামের বাসিন্দা, জেলা সদর হাসপাতালের অবসরপ্রাপ্ত ল্যাব টেকনিশিয়ান ইউসুফ আলী (৬৫)। এদের মধ্যে আমজাদ হোসেন মঙ্গলবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও ইউসূফ আলী বুধবার সকালে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় মারা যান। আর অপরজন মনিন্দ্র চন্দ্র বিশ্বাস নিজ বাসায় আইসোলেশনে ছিলেন।
মঙ্গলবার রাতে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের প্রকাশিত বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮ জন। এর মধ্যে ৫৪ জনই সদর উপজেলার বাসিন্দা। এ ছাড়া নকলা উপজেলায় ৭, ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদীতে ৩ জন করে এবং নালিতাবাড়ীতে ১ জন রয়েছেন। মোট ২২৮ টি নমুনা পরীক্ষায় ৬৮ জনের পজেটিভ শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ২৯.৮২ ভাগ। জেলায় মোট আক্রান্ত ১ হাজার ৮৭৯ জনের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ১১৩ জন। বর্তমানে জেলায় করোনা রোগী রয়েছেন ৭৩২ জন। এর মধ্যে জেলা সদর হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন ৩৩ জন, আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন ৩৯ জন। বাকিরা নিজ নিজ বাসায় আইসোলেশনে রয়েছেন।
এ ব্যাপারে শেরপুরের সিভিল সার্জন ডা. একেএম আনওয়ারুর রউফ জানান, গত জুন মাস থেকেই জেলায় করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে উর্ধ্বমুখী। যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলাই এর সবচেয়ে বড় কারণ। করোনার বিস্তাররোধে জনসাধারণকে সচেতন হতে এবং মাস্ক ব্যবহারসহ যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করতে হবে। সেইসাথে তিনি সরকারঘোষিত লকডাউন মেনে বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দেন। অন্যথায় সংক্রমণ পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।