বুধবার (৭ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় নওগাঁর মহাদেবপুরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ধনপতি সরকার (৬৫) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার চাঁন্দাশ ইউনিয়নের গুপিনাথপুর গ্রামের মৃত সরোথ চন্দ্র সরকারের ছেলে। আগেরদিন এই উপজেলার চেরাগপুর ইউনিয়নের পদ্মপুকুর গ্রামের মৃত ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে আফসার আলী (৭০) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছিল। এনিয়ে এই উপজেলায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৩। এরমধ্যে গত জুন মাসেই মারা গেছেন ৭ জন।
ধনপতি সরকারের ছেলে শীতল কুমার সরকার জানান, গত ১৪ জুন তার বাবার নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাস পজিটিভ হয়। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে ৩০ জুন তিনি করোনামুক্ত হন। তাকে ছাড়পত্র দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়। মঙ্গলবার (৭ জুলাই) তার আবার শ^াসকষ্ট শুরু হলে পুনরায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে মুখে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়। রাতে মুখের অক্সিজেন মাস্ক খুলে বাথরুমে গেলে সেখানে অক্সিজেনের অভাবে নাকমুখ দিয়ে রক্ত ওঠে মারা যান তিনি।
বুধবার (৮ জুলাই) দুপুরে তাকে দাহ করা হয়। তাদের বাড়িতে তারা দুইভাই, তাদের স্ত্রী, এক সন্তান ও তাদের মাসহ এখন ছয়জন সদস্য রয়েছেন। এদের মধ্যে দুইভাইয়ের করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেয়া হয়েছে। ফলাফল এখনো আসেনি। অন্যদের টেস্ট করানো হয়নি। এই বাড়িটি লকডাউনও করা হয়নি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, বুধবার এখানে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে ২১টি নমুনা পরীক্ষা করে চারজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এরা হলেন, গতকাল নিহত চেরাগপুর ইউনিয়নের পদ্মপুকুর গ্রামের আফসার আলীর পরিবারের সদস্য লুৎফর রহমানের স্ত্রী আছিয়া বিবি (৫৫), মহাদেবপুর উপজেলা সদরের লিচুবাগানের আলী হোসেনের ছেলে ফরহাদ হোসেন (২৭), চেরাগপুর গ্রামের ফাতেমা বেগম (৪২) ও এনায়েতপুর ইউনিয়নের হেলালপুর গ্রামের তায়েজ উদ্দিনের স্ত্রী রহিমা বেগম (৬০)।
এনিয়ে এই উপজেলায় মোট ৪৫৪ জন করোনায় আক্রান্ত হলেন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৩৬০ জন। বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত রয়েছেন ৮১ জন।