নওগাঁর মহাদেবপুরে কঠোর লকডাউনের একাদশতম দিনে এর সুফল পাওয়া শুরু হয়েছে। কমতে শুরু করেছে করেনার প্রকোপ।
সারাদেশে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় সরকার কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত নেয়। নওগাঁর মহাদেবপুরে সে বিধিনিষেধ গত দশদিন কঠোরভাবে পালিত হয়েছে। ফলে সরকারের উদ্দেশ্য সফল হতে চলেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও উপজেলা করোনা প্রতিরোধ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সূত্র জানায়, রোববার (১১ জুলাই) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে ২১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে মাত্র ছয়জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এরা হলেন, মহাদেবপুর উপজেলা সদরের তরিকুল ইসলামের ছেলে উপজেলা পল্লী উন্নয়ন (আরআরএফ) অফিসের রবিউল ইসলাম (৩৬), মহাদেবপুর পুরাতন হাসপাতাল পাড়ার মো: ফিরোজের স্ত্রী হাসিনা বেগম (৪০), তার মেয়ে জান্নাতুন মম (১৮), মহাদেবপুর লিচুবাগানের অনিল মালাকারের ছেলে অমিক মালাকার (১৯), চেরাগপুর ইউনিয়নের খোশালবাড়ি গ্রামের আশরাফুল ইসলামের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন (৪২) ও তার স্ত্রী শাহিনা বেগম (৩৬)। এদিন পিসিআর ল্যাব থেকে কোন রিপোর্ট আসেনি। পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ। এদিন ১০ জনকে সুস্থ ঘোষণা করা হয়।
আগের দিন শনিবার (১০ জুলাই) মহাদেবপুর উপজেলার জন্য ছিল একটি শুভ দিন। কারণ এদিন এই উপজেলায় নতুন করে করোনায় কেউ আক্রান্ত হননি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে পাঁচজনের নমুনা পরীক্ষায় সকলের করোনাভাইরাস নিগেটেভ পাওয়া যায়। এদিন গত ৩ ও ৪ জুলাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পিসিআর ল্যাবে পাঠানো ২১ জনের নমুনা পরীক্ষার রেজাল্ট পাওয়া যায়। সবকটিই নিগেটিভ। তার আগের দিন শুক্রবার (৯ জুলাই) বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো একটি নমুনা পরীক্ষার রেজাল্ট পজিটিভ পাওয়া যায়। তিনি হলেন উপজেলার উত্তরগ্রামের খাইরুল ইসলামের ছেলে রবিউল ইসলাম (৩৫)।
এনিয়ে এই উপজেলায় মোট আক্রান্ত হলেন ৪৩২ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৩৮৮ জন। আর মারা গেছেন ১৩ জন। সুতরায় এই মূহুর্তে করোনায় আক্রান্ত আছেন ৬১ জন।
করোনা সংক্রান্ত দৈনিক প্রতিবেদনের তথ্য বিশ্লেষন করে দেখা যায়, এক সপ্তাহ আগে গত রোববার (৪ জুলাই) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে সাতজনের নমুনা পরীক্ষা করে তিনজনের করোনা শনাক্ত হয়। এ ছাড়া বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো একটি নমুনা পরীক্ষার রেজাল্ট পজিটিভ পাওয়া যায়। পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ছিল ৪২ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এ ছাড়া এদিন মোট আক্রান্ত ছিলেন ১২৬ জন। এই সংখ্যা আজকের সংখ্যার (১১ জুলাই, ৬১ জন) দ্বিগুনেরও বেশি।