রাজশাহীর বাঘায় জাকির হোসেন নামের এক কলেজ ছাত্রকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। রোববার (১১ জুলাই) রাত ৯টার দিকে উপজেলার আড়ানী ইউনিয়নের হরিপুর তিন রাস্তার মোড়ে মিলনের দোকানের পাশে এই ঘটনা ঘটে। জাকির হোসেন (২৩) বাউসা ইউনিয়নের খাগড়বাড়িয়া গ্রামের মহির উদ্দিন মাস্টারের ছেলে। এই ঘটনায় রাতে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা যায়, টাকা লেনদেনের বিষয় নিয়ে বাউসা ইউনিয়নের খাগড়বাড়িয়া গ্রামের মহির উদ্দিন মাস্টারের ছেলে জাকির হোসেন ও আড়ানী ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে মোহন হোসেনের মধ্যে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব ছিল। এর জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ডেকে নিয়ে গিয়ে আড়ানী ইউনিয়নের হরিপুর তিন রাস্তার মোড়ে মিলনের দোকানের পাশে নিয়ে গিয়ে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। এই হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে রাতে নাসির উদ্দিন (৬০) ও হাফিজুল ইসলামকে (২৮) পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এ ঘটনায় মোহনকে ১ নম্বর আসামি করে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে জাকিরের ভাবী বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। জাকির হোসেন আবদুলপুর সরকারি কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র।
এ বিষয়ে নিহত জাকির হোসেনের ভাই নেছার উদ্দিন বলেন, আমার ভাইকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে একটি ভ্যানে করে ডেকে নিয়ে যায়। ভ্যানটি হরিপুর তিন রাস্তার মোড়ে মিলনের দোকানের পাশে যাওয়া মাত্র ভ্যান চালকের উপস্থিতিতে মোহনসহ আরো ৬/৭ জন মিলে পেটে ছুরিকাঘাত করে। রক্তাক্ত আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় ডাক্তারের কাছে নেওয়া হয়। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর জাকির হোসেনের মৃত্যু হয়।
বাঘা থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, এই হত্যা কান্ডের ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় নিহতের বড় ভাই গোলাম মোস্তফার বৌ রোজিনা বেগম বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। আসামীদের সোমবার (১২ জুলাই) সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।