পিরোজপুরের নাজিরপুরে স্কুল শিক্ষক কর্তৃক সরকারী খালে বাঁধ দিয়ে আটকে দেয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা। উপজেলার মালিখালী ইউনিয়নের লড়া গ্রামে বুধবার দুপুরে এ মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ওই গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ প্রায় ৫ শতাধীক কৃষক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন। মানববন্ধনে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা ওই বাঁধটি খুলে দিতে দাবী জানান। সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ওই গ্রামের মজুমদার বাড়ি ও পাইক বাড়ির মধ্যবর্তী একটি সরকারী খালে বাঁধ দিয়ে তাতে নৌকা সহ পানি চলাচল আটকে দিয়েছেন একই গ্রামের বাসিন্দা মধ্য লড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিশ্বনাথ পাইক ও তার ভাই নিতিশ পাইক। ওই খালের উপর থাকা একটি লোহার পুল সংলগ্ন স্থান থেকে বাঁশের পাইল ও মাটি দিয়ে ভরাট করে খাল আটকে দেয়ার কাজ চলছে। তবে অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষক ওই খালের জায়গা তাদের ২ ভাইয়ের ক্রয়কৃত জমি বলে দাবী করেন। স্থানীয় কৃষকরা জানান, ওই খালে বাঁধ দেয়ার ফলে ওই গ্রামের প্রায় একহাজার একর কৃষি জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি সহ চলতি মৌসুমের আমন ধান চাষ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক শ্যামল লাল মজুমদার জানান, এই খাল থেকে উঠা পানি দিয়ে বোরো মৌসুমে বোরো ধান চাষ সহ কৃষি কাজ করা হয়। কিন্তু ওই খালটি স্থায়ীভাবে বাঁধ দিয়ে আটকে দেয়ায় খালের সংলগ্ন জমিতে ইতোমধ্যে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। আর বোরো মৌসুমে দেখা দিবে পানি সংকট। এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. সাখাওয়াত জামিল সৈকত জানান, এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়ে সেখানে ভুমি অফিসের লোকজন পাঠানো হয়েছে। ব্যাক্তি স্বার্থে খাল আটকানোর কোন সুযোগ নাই। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।