সারাদেশের মতো ফরিদপুরে লকডাউন শিথিল হলেও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চলছে মন্দাভাব। জেলা শহরের বিভিন্ন বিপনী বিতান, শপিং মল ক্রেতাদের উপস্থিতি ছিলো না চোখে পড়ার মতো। আর এটাকে ব্যবসায়ীরা করোনার প্রভাবকে দায়ি করছেন।
ফরিদপুর চেম্বারের প্রেসিডেন্ট মো. সিদ্দিকুর রহমান এ বিষয়ে বলেন, দীর্ঘ সময় মানুষ কর্মহীন। অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে করোনা কালে মানুষের আয়ের পথ সংকুটিত হয়েছে। যে কারণে মার্কেট গুলোতে কেনা বেচা তুলনা মূলক ভাবে কম। তবে করোনা থেকে মুক্তির পর আশা করছি সব ঠিক হয়ে যাবে।
তিনি আরো জানান, করোনার ভয়াবহতা মানুষ বুঝতে পেরেছে, নিজেদের সচেতনতাও বেড়েছে। যে কারণে খুব প্রয়োজন ছাড়া মার্কেট মুখি হচ্ছে না ক্রেতারা।
সরকার ঘোষিত আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত সারাদেশে লকডাউন শিথিল হলেও এ জেলায় ব্যবসায়ীদের দুরবস্থা চলছে। একই সাথে গত দু'দিনে তেমন একটা বিক্রি হয়নি বলে জানিয়েছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
শুক্রবার সকালে বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, শহরের বিভিন্ন বিপণি বিতান ও মার্কেট খোলা থাকলেও তাতে আগের মত তেমন জমে উঠেনি।
অন্যদিকে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে বড় শপিং মল ও বিপনী বিতান বিভিন্ন রকম ছাড়ের অফার ঘোষণা করলেও তাতে কাক্সিক্ষত সাড়া পাচ্ছে না।
জেলা মধুখালী থেকে ফরিদপুর শহরের আসা বি কে সিকদার সজল জানান, হাতে প্রয়োজন তুলনায় অর্থ কম, তাই কেনা কাটার তালিকা ছোট করা হয়েছে।
ফরিদপুর নিউ মার্কেটের জুতা ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন জানান, আশা ছিল লকডাউন শিথিল হলে ব্যবসায় ভাল হবে, কিন্তু অল্প সংখ্যক ক্রেতা আসলেও কাঙ্খিত ব্যবসা হচ্ছে না। অনেক সময় বসেই থাকতে হয়।
চকবাজারের কাপুড় ব্যবসায়ী আনন্দ সাহা বলেন, করোনা তো আমাদের সব কিছুই নিয়ে গেছে। দীর্ঘ সময় ব্যবসা বন্ধ, আবার এখন ক্রেতা নেই। দোকান ভাড়া, কর্মচারির বেতন কোথা থেকে দিবো।