বরগুনা জেলায় ইদুল আজহা উপলক্ষে ৩৫ টি পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতা ইজারাদার কেউ সামাজিক দুরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। প্রশাসনের ভূমিকাও এই সকল পশুর হাটে ঢিলে-ঢালা লক্ষ করা যাচ্ছে। জেলার একাধিক পশুরহাট ঘুরে ও তথ্য নিয়ে এ অবস্থা দেখা গেছে। পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতা এবং দর্শনার্থীদের মধ্য সামাজিক দুরত্ব বলতে কিছু যেমন নেই, তেমনী প্রশাসন বা ইজারাদারদের পক্ষ থেকে শৃঙ্খলা রক্ষার কোন ব্যাবস্থাও নেই। জেলার বড় গরুরহাট হচ্ছে পাথরঘাটা উপজেলার নাচনাপাড়া ইউনিয়নের মানিকখালি। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন বালাই নেই। তদারকির জন্য ইউনিয়ন পরিষদ বা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন উদ্যোগ নেই। পাথরঘাটা উপজেলার নবাগত নির্বাহি কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ আল মুজাহিদ দায়িত্ব গ্রহনের এক সপ্তাহের মধ্য করোনায় আক্রান্ত হওয়ায়, পশুরহাটে স্বাস্থ্যবিধির বিষয় খোঁজ নিতে পারছেন না উল্লেখ করে বলেন,ইজারাদার, ইউপি চেয়াারম্যানদের বলা আছে যাতে প্রতিটি পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়। তারপরও উপেক্ষিত হচ্ছে অনেক জায়গায়।বরগুনা সদর উপজেলার বড় পশুরহাট গৌরিচন্না আর চালিতাতলীতেও একই অবস্থা দেখা গেছে। বেশীর ভাগ ক্রেতা-বক্রেতা আর ইজারাদাররা মাস্ক ঝুলিয়ে রেখেছেন দাড়ির নীচে!
বরগুনা সদর উপজেলার পশুর হাট ইজারাদাররা হিরু খান বলেন,প্রতিটি হাটে হাজার হাজার ক্রেতা -বিক্রেতা আসে, সকলে যদি নিজেরা সচেতন না থাকেন আমরা চেষ্টা করে কি করবো? বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা সামিয়া শারমিন বলেন,আমরা নিয়মিত পশুরহাট গুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি তদারকি করছি। তারপরও কোন হাটে স্বাস্থ্যবিধি লংঘন হলে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যাবস্থা নিব।
পশুর হাটে কোরবানির গরু কিনতে আসা ক্রেতা বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানাগেছে,এখন পর্যন্ত দাম উভয় পক্ষের মধ্য সহনশীল অবস্থায়ই আছে। বেশীরভাগ ক্রেতার দৃষ্টি খামারীর গরুর চেয়ে গৃহস্থের রিষ্ট পৃষ্ট গরুর প্রতি। প্রাণী সম্পদ অফিস সুত্রে জানাগেছে,অনলাইনে, জেলায় ৮ হাজার গবাদি পশুর তালিকা দেয়া হলেও আজ পর্যন্ত মাত্র ৮২টি গরু বিক্রী হয়েছে। এখানকার ক্রেতারা এখনো অনলাইনে গরু কিনতে আগ্রহী নয় উল্লেখ করে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মনিরুল ইসলাম বলেন,প্রতিটি হাটে গরুপরীক্ষার জন্য আমাদের ভ্যাটানারী টিম রয়েছে।এই টিম প্রতিটি গরু পরীক্ষা করে দেখার পরে বিক্রী করতে হবে। কোন ধরনের নিষিদ্ধ ওষুধ গরুকে খাওয়ানো হয়েছে কিনা সেটা সতর্কতার সাথে তারা পরীক্ষা করেন।