নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা সদরের কোরবানির পশুহাটে ভ্রাম্যমাণ আদালতের (মোবাইল কোর্ট) অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। শনিবার (১৭ জুলাই) বিকেলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আসমা খাতুন এই অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানের সময় ছাগলের হাটে একজন ক্রেতার নিকট থেকে তিনশ’ টাকা টোল আদায় করা হয়। কিন্তু সরকারি টোল আদায়ের রেট ছাগলের বিক্রিত দামের শতকরা পাঁচ টাকা, কিন্তু দেড়শ’ টাকার বেশি নয়। বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক হাট ইজারাদারের ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন। এরআগে একই অভিযোগে এই ইজারাদারের ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ক্রেতারা অভিযোগ করেন যে, ছাগল ক্রেতাদের কাছ থেকে ছয়শ’ টাকা পর্যন্ত টোল নেয়া হয়েছে।
গরুহাটেও অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ করেন ক্রেতারা। গরুপ্রতি টোল আদায়ের সরকারি রেট চারশ’ টাকা হলেও এখানে নেয়া হচ্ছে ৬৫০ টাকা। ক্রেতারা অভিযোগ করেন যে, গরুর খাজনা আদায়ের রশিদে গরুর দাম লেখা হলেও খাজনার পরিমাণ লেখা হচ্ছেনা। উপজেলার সফাপুর ইউনিয়নের পাহাড়পুর গ্রামের আবদুস সালাম জানান, তিনি ৮২ হাজার পাঁচশ’ টাকায় একটি গরু কেনেন। তার কাছ থেকে ৬৫০ টাকা টোল নেয়া হয়। রশিদে টোলের পরিমাণ লেখতে বললেও ইজারাদারের লোকেরা তা লেখতে অস্বীকার করেন। নিয়মানুযায়ী হাটের কোথাও টোল আদায়ের রেট টাঙ্গানো হয়নি। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনও তেমন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান মিলন জানান, হাটের অনিয়ম দূর করতে বিধি অনুযায়ী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। প্রয়োজনে আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, এদিন এই হাটে কমপক্ষে চার হাজার গরু-ছাগল বিক্রি হয়েছে। সেই হিসেবে এই এক হাটেই ইজারাদার ক্রেতা সাধারণের কাছ থেকে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকা অতিরিক্ত টোল আদায় করেছেন। একজন ক্রেতা অভিযোগ করে বলেন, জরিমানার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হবে। কিন্তু সাধারণের কাছ থেকে যে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হলো, তারা তো তা ফেরৎ পাচ্ছেন না।