সাংবাদিক নূরুল ইসলাম ওরফে নাহিদকে (৩১) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে সালথা থানার গট্টি ইউনিয়নের রঘুয়ারকান্দি গ্রামের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান বলেন, গত ৫ এপ্রিল সাংঘটিত নজির বিহিন সত্রাসী ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয়েছে নূরুল ইসলামকে। ওই ঘটনায় পুলিশ যে মামলাটি দায়ের করেন সে মামলার এক আসামির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে নূরুল ইসলামের নাম এসেছে।
সাংবাদিক নূরুল ইসলাম গট্টি ইউনিয়নের রঘুয়ারকান্দি গ্রামে মৃত মজিবর রহমানের ছেলে। পাঁচ ভায়ের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। নূরুল ইসলাম বিবাহিত এবং দুই মেয়ের বাবা।
নূরুল ইসলাম ঢাকা থেকে প্রকাশিত ঢাকা টাইমস এর সালথা উপজেলা প্রতিনিধি। তিনি দীর্ঘ সাত বছর ধরে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার সালথা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তবে সম্প্রতি তাকে ওই পত্রিকা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
নূরুল ইসলামের সহকর্মী আবু নাসির হোসেন বলেন, ৫ এপ্রিল সহিংস ঘটনার সময় তিনি, নূরুল ইসলামসহ কয়েকজন সাংবাদিক ইউএনও ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে উপজেলা কমপ্লেক্সের দোতালায় একই কক্ষে আটকা পড়েছিলেন। হামলাকারীরা যখন কমপ্লেক্স ভবনের নিচতলায় আগুন ধরিয়ে দেয় তখন তারা জীবনের ঝুঁিক নিয়ে পাইপ বেয়ে নিচে নেমে আসেন। তিনি বলেন, ওই ঘটনার নূরুল ইসলামকে হয়রানি করার কোন সুযোগ নেই।
সালথা প্রেসক্লাবের সভাপতি সেলিম হোসেন মোল্লা বলেন, সালথার সাংবাদিকরা বরাবরই ওই হামলার ঘটনায় জড়িতদের সনাক্ত করাসহ সহিংস ঘটনার বিপরিতে অবস্থান নিয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। নূরুল ইসলামও তার বাইরে নয়।