স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদের ৯৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ২৩ জুলাই শুক্রবার সকালে তাঁর জন্মভূমি গাজীপুরের কাপাসিয়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের উদ্যোগে আলোচনা, মিলাদ ও প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়েছে।
করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে লকডাউনের কারণে স্বল্পপরিসরে কাপাসিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভিডিওকনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও বঙ্গতাজ কন্যা সিমিন হোসেন রিমি এমপি।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান প্রধানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোঃ আমানত হোসেন খান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রওশন আরা সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন আহমেদ সেলিম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ইমাম উল্লাহ ইমু, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক এমদাদুল হক, আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মজিদ দর্জী, মাজহারুল ইসলাম লেলিন, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও কাপাসিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন প্রধান, তরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আয়ুবুর রহমান সিকদার, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজীব ঘোষ, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহামুদুর হাসান মামুন, সাধারণ সম্পাদক আমির হামজা সহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ, মরহুম তাজউদ্দীন আহমদ ১৯২৫ সালের ২৩ জুলাই গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার রায়েদ ইউনিয়নের দরদরিয়া গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন যা “মুজিবনগর সরকার” নামে অধিক পরিচিত।
স্বাধীনতা পরবর্তীকালে তিনি বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী হিসাবে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পর তাজউদ্দীন আহমদসহ জাতীয় চার নেতাকে বন্দী করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়। ১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর বন্দী অবস্থায় তাঁদের সবাইকে হত্যা করা হয়।