হামলার ঘটনায় থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করতে গড়িমসি শুরু করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পাশাপাশি অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য এক পুলিশ সদস্যর বিরুদ্ধে হুমকি অব্যাহত রাখা হয়েছে। ঘটনাটি জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার পশ্চিম বাগধা গ্রামের।
ওই গ্রামের খ্রীষ্ট সম্প্রদায়ের মৃত রমল হালদারের পুত্র প্রদীপ হালদারের লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, একই বাড়ির যৌথ শরিকানা একটি পুকুর লিজ নিয়ে তিনি মাছ চাষ করে আসছেন। পুকুরের অংশীদার মৃত সুধীর হালদারের ভাগের টাকা তার বিধবা স্ত্রী স্বর্ণলতা হালদারকে বুঝিয়ে দেয়া হয়। এতে ক্ষিপ্ত হন স্বর্ণলতার মেয়ে করুনা হালদারের স্বামী ঝালকাঠী পুলিশ লাইন্সে নায়েক পদে কর্মরত খোকন অধিকারী।
অভিযোগে আরও জানা গেছে, গত ২২ জুলাই বিকেলে পুলিশ সদস্য খোকন অধিকারী তার স্ত্রীর অংশের টাকার জন্য প্রদীপ হালদারকে চাঁপ প্রয়োগ করেন। এ সময় উভয়ের মধ্যে বাগবিতন্ডার একপর্যায়ে পুলিশ সদস্য খোকন অধিকারী অর্তকিতভাবে প্রদীপ হালদারের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তাকে বাঁচাতে স্ত্রী পারভীন হালদার ও তার মা জোসনা হালদার এগিয়ে আসলে খোকন অধিকারী তাদেরকেও মারধর করে আহত করে।
স্থানীয় আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। হামলার ঘটনায় গত ২৩ জুলাই আগৈলঝাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর পুলিশ সরেজমিনে তদন্তে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেলেও আইনগত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।
প্রদীপ হালদার আরও অভিযোগ করেন, থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর হামলাকারী পুলিশ সদস্য খোকন অধিকারী অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য তাদের বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতিসহ ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় জড়ানোর হুমকি প্রদর্শন করে আসছেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে ঝালকাঠী পুলিশ লাইন্সে নায়েক পদে কর্মরত খোকন অধিকারী সাংবাদিকদের বলেন, হামলার দিন আমি আমার কর্মস্থলে উপস্থিত ছিলাম। ষড়যন্ত্র করে আমার বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা মিল্টন মন্ডল বলেন, সরেজমিনে অভিযোগের তদন্ত করা হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।