খুলনায় এক নারীকে বিয়ে করে পরে অস্বীকারে অভিযোগ উঠেছে পাইকগাছা থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ইব্রাহিম হোসেন সোহেলের বিরুদ্ধে। খুলনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গত ১৫জুলাই ভুক্তভোগী নারী লিখিত অভিযোগ করেন। ওই দিনই ইব্রাহিম হোসেন সোহেলকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ (প্রত্যাহার) করা হয়। তিনি আরও জানান, ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা বিষয়টি তদন্ত করছেন। প্রাথমিকভাবে এক বছর ধরে তাদের মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে বলে জানা গেছে। পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগে ওই নারী উল্লেখ করেন, ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে তার প্রথম স্বামী মারা যান। তাদের একটি কন্যা সস্তান রয়েছে। ওই নারীর বাবা পুলিশ কর্মকর্তা হওয়ার আগেই পরিদর্শক সোহেলের সঙ্গে তার পরিচয় ছিল। একপর্যায়ে সোহেল তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। রেজিস্ট্রি ছাড়া পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে কলেমা পড়ে তাদের বিয়ে হয়। ওই সময় চাকরি বাঁচানোর কথা বলে সোহেল বিয়ে রেজিস্ট্রি করতে চাননি। সম্প্রতি প্রথম স্ত্রী বিষয়টি জেনে গেলে সোহেল বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেন। ভুক্তভোগী নারী বলেন, গত ১৫জুলাই সোহেল বাসায় এসে আমার সঙ্গে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করার চেষ্টা করেন। বিষয়টি পুলিশ সুপারকে অবহিত করলে তিনি সমাধানের আশ্বাস দেন। এ ঘটনার পর থেকে সোহেল আমাকে হুমকি দিচ্ছেন। পুলিশ পরিদর্শক ইব্রাহিম হোসেন সোহেল বলেন, সাবেক সহকর্মীর মেয়েকে উপকার করতে গিয়ে ফাঁদে পড়েছি। ওই নারী এখন আমাকে বিয়ে করার জন্য ব্ল্যাকমেইল করছেন। আমার চাকরি, সংসার সবকিছুতে অশান্তি শুরু হয়েছে। ওই নারীকে বিয়ের বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। জানা যায়, বিধবা নারীর সঙ্গে পূর্ব পরিচয়ের জেরে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন পুলিশ পরিদর্শক। ওই নারী তাকে বিয়ে করতে বললেও তিনি আপত্তি জানান। পরে গত ১৫জুলাই আবারও ইব্রাহীম ওই নারীর বাসায় গেলে তাকে ঘরের মধ্যে আটক করে স্থানীয়রা।