ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈলে ইউরিয়া ও নন-ইউরিয়া টিএসপি এমওপি(পটাশ) সারের সংকট দেখা দিয়েছে। সার ডিলারেরা বলছেন, উপজেলায় সারের চাহিদার তুলনায় যোগান কম দেওয়ায় এ সংকট দেখা দিয়েছে। রোপা আমনের ভরা মৌসুমে সারের সংকট দেখা দেওয়ায় বিপাকে রয়েছেন কৃষকেরা। ২৮জুলাই বুধবার আমজুয়ান গ্রামের কৃষক মোবারক পৌর শহরের পাঁচটি দোকান ঘুরে কৃষি অফিসের সহায়তায় তার রোপা আমন ধানের জন্য ৬ বস্তা সার পেয়েছেন। একইভাবে বনগাঁও গ্রামের আহসান হাবিব বলেন- চাহিদা থেকে কম সার নিয়ে আমার ১০বিঘা ধানের জমির জন্য ইউরিয়া লাগবে কমপক্ষে ১০০ কেজি টিএসপি লাগে ১১০ কেজি অথচ সার পেয়েছি তারও অর্ধেক আবার মূল্যে বেশি। তাছাড়া সরকারী দর ১৬ টাকা হলেও খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১৭ থেকে ১৮ টাকা।
সরেজমিনে গেলে বিসিআইসি সারের ডিলার মল্লিক ট্রের্ডাসের ছেলে মিঠু জানান, সার সংকট নেই তবে চাহিদা তুলনায় যোগান আপাতত কম। তাছাড়া ঢিকা সার রয়েছে যা রেশিও করতে হয় সে সার গুলো কৃষক নিতে চাই না। আরেক বিসিআইসি ডিলার মন্ডল ট্রের্ডাসের সত্বাধিকারী শিখা মন্ডল বলেন, আপাতত কৃষকদের চাহিদা অনুযায়ী সার দেওয়া যাচ্ছে না। তবে যারা ৫ বস্তা ইউরিয়া চাই তাদের ২ বস্তা দেওয়া হচ্ছে। টিএসপি সারের চাহিদা আছে তবে পযাপ্ত ভাবে আপাতত দেওয়া যাচ্ছে না। তবে আগামী ১ তারিখ থেকে এ সংকট থাকবে না বলে তিনি মন্তব্য করে বলেন সে-সময় যে যত সার চাবে চাহিদা অনুযায়ী দেওয়া হবে। বিএডিসি সারের ডিলার আজম ও মিঠু বলেন, আমরা ইউরিয়া কেজি হিসাবে বিক্রয় করছি। তাছাড়া টিএসপি চাহিদা অনুযায়ী যোগান কম সারা মাসেই থাকে। ডিলার আজম বলেন, আমাদের উপজেলায় সারের ডিলার অনেক বেশি হয়ে গেছে, বরাদ্দকৃত সার তাই অনেক ভাগ হয়। এতে চাহিদামুলক ডিলাররা সার কম পায়।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, এবারে রোপা মৌসুম খরিপ-২(জুলাই হতে সেপ্টেম্বর) মাসের জন্য ইউরিয়া মোট চাহিদা ৪ হাজার ৯৪৭ মেট্রিক টন, পাওয়া গেছে ২ হাজার ৪৮৬ মেট্রিক টন। একইভাবে টিএসপি চাহিদা ৯৪৯ মেট্রিক টন, পাওয়া গেছে ৫৮৪ মেট্রিক টন। এমওপি চাহিদা ১ হাজার ৪২৬ মেট্রিক টন পাওয়া গেছে, ৮১৩ মেট্রিক টন। তবে অতিরিক্ত চাহিদা অনুযায়ী সার বরাদ্দের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পত্র দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় দেবনাথ বলেন, সার পর্যাপ্ত রয়েছে উপজেলার নেকমরদ বাজারের দোকানে ভরপুর সার। তাছাড়া সারের জন্য আমরা আরো চাহিদা দিয়ে বরাদ্দ চেয়েছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ভারপ্রাপ্ত) প্রীতম সাহা মুঠোফোনে বলেন, অতিরিক্ত সার বরাদ্দ চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে আমরা পত্র দিয়েছি। আশা করছি দ্রুত সার পেয়ে কৃষকের চাহিদা পুরণ হবে।