দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা (Structural Interlocking) আজ প্রায় সর্বত্র বিরাজমান। বিগত সংসদ অধিবেশনে এসব নিয়ে জোরালো আলোচনা হয়েছে। এ নিবন্ধটি লেখার আগে বিভিন্ন সূত্র, সংসদ অধিবেশনের আলোচনা, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও দৈনিক যুগান্তরের দুটি সংবাদ হস্তগত হওয়ার পর ভালো করে ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণও দেখেছি। কারণ এ দুটি সংবাদের শিরোনাম ছিল যথেষ্ট স্পর্শকাতর ও ভেবে চিন্তে দেখার বিষয়।
দৈনিক যুগান্তরে প্রকাশিত ২১ জুন ও ২৯ জুন দুটি সংবাদ পাঠক সমাজসহ অনেকেরই নজর কেড়েছে। তন্মধ্যে দুটি সংবাদের শিরোনাম ছিল মোবাইল কোর্টের টাকাও আত্মসাৎ ও অপরটি ছিল থানায় গেলে আগে টাকা ও পরে অভিযোগ। এ ব্যাপারে নিজস্ব অভিপ্রায় ও মন্তব্যের প্রারম্ভে যে দৃশ্যপট লক্ষ্য করা গেছে আগেভাগে সেদিকে দৃষ্টিপাত না করলেই নয়। এছাড়া কিছুদিন ধরে সংসদসহ বিভিন্ন সমসাময়িক বিভিন্ন কাগজের শিরোনাম ছিল মুন্সিগঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পের ২০০ ঘর নির্মাণে অবিশ্বাস্য দুর্নীতি, চলন্ত বাসে তরুণীকে দলবেধে ধর্ষণ, সংসদে আমলাদের নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা, চাল নিয়ে কারসাজি, পকেট মেরে লোপাট ১৫৭০ কোটি টাকা, ফেরাউনি আমলা ও যুগান্তকারী জেলা সমন্বয়ক, এরশাদের তালাক প্রাপ্ত স্ত্রী বিদিশার বিদেশি ব্যাংক হিসেবে টাকার পাহাড়, বিদিশার দুই পুত্রের জন্ম একদিনে বাবা দুজন, এরিক ও শাদ এরশাদকে সামনে নিয়ে বিদিশার নতুন রাজনৈতিক চমকসহ আরও চাঞ্চল্যকর সংবাদ। যা যুগান্তর ও রূপান্তরসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে ৬, ৭ ও ১৫ জুলাই বিশেষ কলেবরে প্রকাশিত হয়ে থাকে।
নিবন্ধে এতগুলো সংবাদের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণে না গিয়ে দুটি বিষয়ে সংক্ষিপ্তভাবে দৃষ্টিপাত করছি। প্রথমটি হচ্ছে মোবাইল কোর্টে জরিমানার টাকা আত্মসাৎ করায় অভিযুক্ত এসিল্যান্ড (সহকারী কমিশনার ভূমি) সুমিত সাহাসহ সংশ্লিষ্ট নাজির ও পেশকারের বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে ঝালকাঠি জেলার কাঁঠালিয়া এসিল্যান্ড অফিসে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের (এডিএম) নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে বলে সূত্রে জানা যায়। প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পরবর্তী ধাপ হিসেবে বিভাগীয় মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা যায়। সূত্র
জানায়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জনৈক সেকশন অফিসার অলিউল্লাহ আহাদ নামে এক ব্যক্তি ৩১ জানুয়ারি এসিল্যান্ড সুমিত সাহার বিরুদ্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেন। সেখানে এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ইট ভাটায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জরিমানার অর্ধেক টাকা গলদগর্ম বা আত্মসাৎসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়। এরপর মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কামাল হোসেনকে প্রধান করে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত ২৫ জানুয়ারি বড় কাঁঠালিয়া গ্রামে অবস্থিত মেসার্স ত্বহা ব্রিকস ফিল্ডে অভিযান পরিচালনা করে কাঁঠালিয়ার এসিল্যান্ড সুমিত সাহা। এ সময় অভিযানটিতে যথারীতি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কয়েকজন সদস্য উপস্থিত ছিল। এছাড়া সহযোগী হিসেবে উপস্থিত ছিল এসিল্যান্ড অফিসের নাজির ও পেশকার মাইনুল ইসলাম।
বিভিন্ন অনিয়মের কারণে এসিল্যান্ডের নির্দেশে ফায়ার সার্ভিসের কর্তব্যরতরা হুইস পাইপের পানি নিয়ে ইট ভাটার আগুন নিভিয়ে ফেলে। এতে বেশ কিছু কাঁচা ইটও নষ্ট হয়। সেখান থেকে আটক করা হয় ইট ভাটার স্টাফ হাবিবুর রহমান কাজী ও মফিজুল ইসলামকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চলে আসে ইটভাটার মালিক পক্ষের প্রতিনিধি শাহিন আখন। তিনি তদন্ত কমিটিকে জানায়, মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সময় তাদের ইটভাটার অনেক ক্ষতি হয়। প্রথমে এসিল্যান্ড ১০ লাখ টাকা জরিমানার কথা বলে। কিন্তু এত টাকা তারা কোথা থেকে দেবে জানিয়ে জরিমানার টাকা কমানোর জন্য অনুরোধ করে। এক পর্যায়ে জরিমানার টাকা না দিলে তাদেরকে জেলে পাঠানোর কথা বলা হয়। পরবর্তী সময় জরিমানার টাকা কমিয়ে ৪ লাখ টাকা ধার্য্য করা হয়। কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে টাকা দিতে না পারায় আটককৃত ইটভাটার কর্মচারী হাবিবুর রহমান কাজী ও মফিজুল ইসলামকে এসিল্যান্ড অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়।
ওই দিন বেলা ১১টার মধ্যে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা যোগাড় করে শাহিন আখন এসিল্যান্ড অফিসে যায়। কিন্তু টাকা কম হওয়ায় এসিল্যান্ড তাতে ক্ষুব্ধ হয়। তারপর বাধ্য হয়ে ১ ঘন্টা সময় নিয়ে পরবর্তীতে আরও ১ লাখ ৫০ হাজার টাকাসহ মোট ৪ লাখ টাকা জরিমানা দিয়ে থাকে। কিন্তু তিনি ইট ভাটায় ফিরে গিয়ে জরিমানার ভিসিআর রসিদ পড়ে দেখেন সেখানে লেখা আছে ২ লাখ টাকা। এদিকে মোবাইল কোর্টের নামে এভাবে জরিমানার আত্মসাতের বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়ে গেলে পরদিন ২৬ জানুয়ারি এসিল্যান্ড অফিসের নাজির মাইনুল ইসলাম ২ লাখ টাকা ফেরৎ দিতে ইট ভাটায় যায়। কিন্তু কোনো লিখিত ডকুমেন্ট ছাড়া শাহিন আখন এভাবে টাকা ফেরৎ নিতে অস্বীকার করে।
তদন্ত কমিটির ৯ পৃষ্ঠার বিশদ প্রতিবেদনে বলা হয় মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুমিত সাহা ইটভাটা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করে। কিন্তু তিনি এবং তার পেশকার মাইনুল ইসলাম যোগসাজশ করে ২ লাখ টাকা ভিসিআর দেয়। অবশিষ্ট ২ লাখ টাকা আত্মসাতের অপচেষ্টা করে। এছাড়া সুমিত সাহার বিভিন্ন ব্যাংকে টাকা পাঠানোর বিষয়টির সত্যতাও অপেন সিক্রেট।
এদিকে বিগত সংসদ অধিবেশন চলাকালে ২৮ জুন সোমবার প্রস্তাবিত ২১-২২ অর্থ বছরের ওপর বাজেটের সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, প্রশাসনের সর্বত্র ঘুষ, দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে। সরকারি দপ্তরে ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ হয় না। ভূমি, পুলিশ ও বন থেকে শুরু করে প্রতিটি দপ্তরে কাজ করতে গেলে ঘুষ দিতে হয়। ঘুষ ছাড়া থানায় মামলাও করা যায় না। আগে টাকা তারপর কথা। ঘুষ ছাড়া যিনি কাজ করতে পারেন তিনি ভাগ্যবান। স্বাস্থ্যখাতের কেনাকাটা প্রসঙ্গে বলেন, সার্জিক্যাল মাস্কের কোনটির দাম ৪ টাকা। কোনটির দাম একটু বেশী। কিন্তু মন্ত্রণালয় এগুলো কিনেছে সাড়ে তিনশ থেকে সাড়ে চারশ টাকা। প্রতিটি মাস্কে সত্তর থেকে আশি গুণ টাকা লুটপাট হয়েছে। তারা আইসোলেশন, কোয়ারেন্টিন বুঝেনা। তাই করোনার সময় যদি কেনাকাটায় আকাশচুম্বী দুর্নীতি করে তাহলে দেশ কীভাবে এগুবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ কী করে বাস্তবায়ন হবে। চীৎকার করে আকাশ বাতাস কাঁপানো বক্তৃতা, ৭ মার্চের ভাষণ বাজিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন করা যাবে না। অন্যায়, অত্যাচার ও দুর্নীতি বন্ধ করা গেলে দেশ আরও অনেক দূর এগিয়ে যেত। এমন কোনো মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও ক্ষেত্র নেই যেখানে ঘুষ ছাড়া কেউ কোনো কাজ করতে পারেন। ভূমি অফিসে গেলে এসিল্যান্ডকে ঘুষ দিতে হবে। আরেক জায়গায় তহশিলদারকে ঘুষ লাগবে। একটু বড় কাজ হলে ইউএনওকে (উপজেলা নির্বাহী অফিসার) টাকা দেয়া লাগবে। আরও বড় কিছু হলে ডিসি সাহেবকে টাকা দেয়া ছাড়া হবে না। থানায় তো দারোগা বাবুরা।
আপনি মরে যাবেন, আপনার লোক আহত হবে, নিহত হবে। এরপরও থানায় এফআইআর করতে গেলে আগে টাকা তারপর কথা। ব্রিটিশ আমলেও অনেকেই ঘুষ খেতনা। পাকিস্তান আমলেও সবাই ঘুষ খেত না। এখন একেবারে প্রত্যেকেই থানা থেকে শুরু করে সার্কেল এসপি, এডিশনাল এসপি, এসপি আর কত দূর পড়ে আছে তা বললে লাভ কী ? সংসদে রুস্তম আলী ফরাজী আরও বলেছেন, যেকোনো দপ্তরে যাব একই অবস্থা দেখব। জনপ্রশাসনেও করাপশন। স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে দুর্নীতি নেই। আজকে যারা মন্ত্রী আছেন তাদের দায়বদ্ধতা কী ? সবাই গিয়ে হাত তোলেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। প্রধানমন্ত্রী কি মাস্ক কিনবেন ? তিনি কি ভূমি অফিসের ঘুষ ঠেকাবেন। তিনি কি ওসি ও এসপির ঘুষ ফেরাবেন। হোয়ার আর দ্য মিনিস্টারস? হোয়াট ইজ হিজ ডিউটি ? তারা রুলস অব বিজনেস পড়েন কি ? সরকার কি বিভাজন করে তাদের ক্ষমতা দেন নি।
আমলাদের সম্পর্কে তিনি সংসদে বলেছেন, আমলারা দুর্নীতিগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মালয়েশিয়াতে বেগম পাড়া রয়েছে। এসব বেগম পাড়ার বেশীর ভাগ কুশীলবই আমলা। তারপর রয়েছে ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদরা। ওরা দুর্নীতি করে স্ত্রীর নামে বাড়ি কেনে। প্রথমে স্ত্রীর সাথে ছেলে পাঠায় এবং পরবর্তী সময় নিজে যায়।
এ নিবন্ধটিতে আরও কিছু লেখার ইচ্ছা থাকলেও মোবাইল কোর্ট ও সদ্য সমাপ্ত জাতীয় সংসদে একজন এমপির বক্তৃতার কিয়দংশ উল্লেখ করাতে আমলাতন্ত্র ও ফেরাউনি আচরণ নিয়ে সংক্ষিপ্ত কলামের কলেবরে শুধু স্পর্শ করলেও অনেকে যাতনা, জ্বালা, দুঃখ ও অস্বাভাবিক বেদনা (অনফড়সবহধষ চধরহ) তুলে ধরতে পারিনি। তবে এতটুকু বলা যায়, আমলাতন্ত্রের কষাঘাতে নির্বাচিত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানদের সাথে আলাপ করে বুঝা যায়, আমলাতন্ত্রের কষাঘাতে আজ তারা কোথায় আছেন। অনেকেই মনে করে এমতাবস্থায় উপজেলা চেয়ারম্যানরা উপজেলায় সাক্ষী গোপাল ছাড়া আর কিছু নহে। এছাড়া উপজেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রক হিসেবে উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার সংসদ সদস্য।
আমলাতন্ত্রের কুপোঘাতে সমাজের কত লোক যে অহরহ নিষ্পেষিত ও নির্যাতিত হচ্ছে এর যেন শেষ নেই। এখানে মাত্র দুটি ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে। এমন আরও অজ¯্র ঘটনা রয়েছে। সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী সংসদে দুটি কথা বলার জন্য অনেকের বিরাজভাজন হলেও সমাজের ভূক্তভোগী অসংখ্য মানুষের প্রশংসা কুঁড়িয়েছেন। এমনিভাবে সংসদে হ্যাঁ জয়যুক্ত হয়েছে এবং না জয়যুক্ত হয়েছে টেবিল চাপড়ানোর বদৌলতে দেশ, জাতি ও জনগণের জন্য কিছু বলার জন্য সাধুবাদ।
বিচারক মাজদার হোসেন মামলার আলোকে ২০০৭ সালে নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ আংশিক পৃথকীকরণ করা হলেও (ঔঁফরপরধষ ঝবঢ়বৎধঃরড়হ) অদ্যাবধি মোবাইল কোর্ট, ডিএম কোর্ট নির্বাহীদের হাতেই রয়েছে। যে জ্বালা, যন্ত্রণা ও নিপীড়নের শেষ নেই। তদোপরি মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সময় এমন তুচ্ছ, তাচ্ছিল্য আচরণ করা হয় যা আইয়ুব খানের ৫৮ সালের সামরিক শাসনকেও হার মানায় বলে জানা যায়। তবে জেলা ও দায়রা জজকে পূর্ণ সচিবের মর্যাদায় দেয়ায় বিচার বিভাগের মর্যাদা অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। যত তাড়াতাড়ি মোবাইল কোর্ট ও অপশাসনের ফিরিস্থি ও মামলা সংক্রান্ত কারণে থানায় অভিযোগ নিয়ে যাওয়ার পর যে দুর্নীতির আশ্রয় নেয়া হয় তা কারও কাম্য নহে। বর্তমান পুলিশের আইজিপি ড. বেনজির আহমেদ যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা সময়োচিত ও যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক। স্বাধীন বাংলাদেশে যাতে ব্রিটিশ ও পাকিস্তানি স্বার্থবাদীদের মতো এ অপপ্রয়াশ বন্ধ হয় ইহাই জনপ্রত্যাশা। পরিশেষে বলব, এদেশ দুনিয়ার কোনো দেশের কলোনী বা তল্পিবাহক নহে। বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে, প্রভু নেই। সাংবিধানিকভাবে জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ আমাদের সরকার পরিচালনার গণতান্ত্রিক অধিকার ও অনির্বাণ শক্তি।
(এ.কে.এম শামছুল হক রেনু)
লেখক কলামিষ্ট