রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানায় মো. লিটন (২৬) নামে এক মাদক মামলার রিমান্ডে থাকা আসামির পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত লিটন বগুড়া জেলার কাহালু থানার পাল্লাপাড়া গ্রামের সলেমান প্রামাণিকের ছেলে। সোমবার আনুমানিক রাত ৩ ঘটিকার সময় এ ঘটনা ঘটে। তবে এ বিষয়ে এখনো লিটনের বর্তমান ঠিকানা বা পরিবারের কারো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
মঙ্গলবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট সাব্বির হোসেন ও টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি জাবেদ মাসুদের উপস্থিতিতে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ্ মাষ্টার জেনারেল হাসপাতালে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
পুলিশ জানায়, গত শনিবার (৩১ জুলাই) উত্তরা এলাকা থেকে ৫ হাজার ৮০০ পিস ইয়াবাসহ লিটনকে আটক করে র্যাব-১ এর সদস্যরা। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গ্রেফতারের পর পুলিশ লিটনকে দুই দিনের রিমান্ডে নেয়। রিমান্ডের প্রথম দিন রাতে থানার লকআপে ওই আসামি আত্মহত্যা করেন। থানার সিসি ফুটেজ পর্যালোচনা করে প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় বিমানবন্দর জোনের অতিরিকৎ উপ-পুলিশ কমিশনার তাপস কুমার দাশকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে থানার হাজতখানায় যারা দায়িত্বে ছিলেন তাদের কারো কোনো অবহেলা আছে কি না তা খতিয়ে দেখে আগামী ৩ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এবিষয়ে উত্তরা জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পরিপেক্ষিতে সিসিটিভি ফুটেজ দেখেছি। একাধিক মাদক মামলার আসামি লিটনকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য উত্তরা পূর্ব থানায় রিমান্ডে আনা হলে সোমবার (৩ আগস্ট) রাত আনুমানিক ৩ টার দিকে হাজতে থাকা কম্বলের দ্বারা ভেন্টিলেটরের সঙ্গে বেঁধে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। এ ঘটনায় ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ডিএমপির উত্তরা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) তাপস কুমার দাস জানান, লিটন নামে ওই ব্যক্তি মাদকাসক্ত ছিলেন। লকআপের ভেতরে থাকা কম্বল ছিঁড়ে ভেন্টিলেটরের গ্রিলের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।