নয় শত নিরানব্বই নম্বরে ফোন করে সন্ত্রাসী কর্তৃক অবরুদ্ধ থাকা মা-মেয়ে মুক্তি পায় এবং তাদের বসত ভিটা বেদখলের হাত থেকে রক্ষা পায়। বৃহস্পতিবার পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে বলে ইন্দুরকানী থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনার সময় সন্ত্রাসীরা ওই ঘরে ভাংচুর চালায় ও ঘরের পাশের খালি জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে একটি ঘর উত্তোলনের চেষ্টা চালায়। ৯৯৯ নম্বর ফোনে খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নেয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রামচন্দ্রপুর গ্রামের বিষ্ণুপদ হ্লাাদার এর বাড়ীতে একই গ্রামের সুব্রত হালদার ৩০ থেকে ৩৫ জন সন্ত্রাসী নিয়ে বিষ্ণুপদ হালদার এর বসত ঘরে তার স্ত্রী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সবিতা রানী হালদার ও তার মেয়ে বরিশাল বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী স্বর্ণা হালদারকে ঘরে অবরুদ্ধ করে বসত ঘর ভাংচুর করে এবং তাদের দখলীয় জমিতে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘর নির্মাণের চেষ্টা করে। এ সময়ে স্বর্ণা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে ইন্দুরকানী থানা পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এ ব্যাপারে সবিতা রানী হালদার জানান, তার স্বামী বাড়ীতে না থাকার সুযোগে ওইদিন সকালে সুব্রত, শংকর শিয়ালী, শিশির হালদার, রনপতি হালদারসহ ৩০ থেকে ৩৫ জনের সন্ত্রাসীদল তাকে ও তার মেয়েকে অবরুদ্ধ করে ঘরে হামলা চালিয়ে মালামাল ভাংচুর করে। তখন তার মেয়ে অনন্যোপায় হয়ে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে পুলিশ সেখানে যায়। সবিতার অভিযোগ পুলিশ উপস্থিত হওয়ার পরও তাদের দখলকৃত জায়গায় সন্ত্রাসীরা ঘর তোলে।
তিনি আরো অভিযোগ করেন ওই দিন রাতে বিষ্ণুপদ হালদার বাড়িতে গেলে খবর পেয়ে সন্ত্রাসী সুব্রত হালদার রাতে ফের বিষ্ণুর বাড়িতে হামলা করে বিষ্ণুকে মারধোর করে। এ সময় মেয়ে স্বর্ণা বাধা দিলে সন্ত্রাসীরা তাকেও এলোপাতারী মারধোর করে। গুরুতর আহত দুজনকে পার্শ্ববর্তী মোড়েলগঞ্জ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে সবিতা জানান।
ইন্দুরকানী থানার ওসি মোঃ হুমায়ুন কবির জানান, ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে তারা ঘটনা স্থলে গিয়ে মা-মেয়েকে উদ্ধার করে। পুলিশ থাকা অবস্থায় ওখানে কোন ঘর তোলা হয় নাই বলে ওসি জানান। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন।