রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়াঘাট এলাকায় (৬আগষ্ট)শুক্রবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে মদ্যপ অবস্থায় ৯ মাদক সেবিকে আটক করেছে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ।
জানাযায় শুক্রবার দিবাগত মধ্য রাতে উপজেলার দৌলতদিয়া পতিতা পল্লীর ১ নং গেট হতে যৌন পল্লীর গোরস্থানগামী গলির মধ্যে পশু চিকিৎসক মো. আক্তার হোসেনের ভাড়া বাড়ির সামনে থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেনদ বাবু মোল্লার ছেলে মোঃ মাসুদ মোল্লা (২৫), মোঃ শাজাহান সরদারের ছেলে মোঃ আশিক সরদার,মোশারফ প্রামানিকের ছেলে মোঃ হিরু প্রামাণিক রবি (২৪), কাশেম আলী খানের ছেলে মোঃ ইলিয়াস খান (২৫), লালটু মন্ডলের ছেলে মোঃ হাফেজ মন্ডল (২০), হাসান শেখের ছেলে মোঃ ইমন শেখ (১৯), ফজলু মুন্সির ছেলে মো. জুয়েল রানা (১৯), আক্কাস আলী মৃধার ছেলে মোঃ মিজানুর রহমান, শফি শেখের ছেলে মোঃ শাহিন শেখ (৩০)। তাদের সকলের বাড়ি উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে। তাদের কাছ থেকে একটি মদের খালি কাচের বোতল জব্দ করা হয়েছে।
এদের মধ্যে মোঃ মাসুদ রানা (২৫), মো.আশিক সরদার (১৯), মোঃ হিরু প্রামাণিক রবি (২৪)ও মোঃ ইলিয়াস খানের (২৫) বিরুদ্ধে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
শনিবার (৭ আগষ্ট) গোয়ালন্দ ঘাট থানার মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে দৌলতদিয়া রেল ষ্টেশন শহীদ মিনার এলাকায় ডিউটিরত ছিলেন এস.আই (নিঃ) সৈয়দ ইমামুজ্জামান। এ সময় তিনি খবর পান উত্তর দৌলতদিয়া পতিতা পল্লীর ১ নং গেট হতে যৌন পল্লীর গোরস্থানগামী গলির মধ্যে পশু চিকিৎসক মো. আক্তার হোসেনের ভাড়া বাড়ির সামনে কতিপয় একদল যুবক মদ খাচ্ছে। মদ খেয়ে মাতাল হয়ে জনসাধারণের শান্তি বিনষ্ট ও বিরক্ত করছেন।
এমন সংবাদের ভিত্তিতে এস.আই (নিঃ) সৈয়দ ইমামুজ্জামান সহ থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। এবং ঘটনাস্থল থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে যায়। স্বাস্থ্য পরিক্ষা করে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের বিরুদ্ধে এলকোহল পান করার ছাড়পত্র প্রদান করলে তাদেরকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গোয়ালন্দ ঘাট থানার (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর বলেন, মদ্যপ অবস্থায় জনসাধারণের শান্তি বিনষ্ট ও বিরক্ত করার জন্য তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদেরকে শনিবার রাজবাড়ীর আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।