পূর্বধলা ধলামূলগাঁও এরুয়ার চর-কুড়িকুনিয়া নয়া খালের খননকৃত খালের পাড়ের মাটি কেটে ট্রলারে করে বিক্রি করে দিচ্ছে এরুয়ার চর গ্রামের মৃত আবদুল হাসিম এর ছেলে রতন মিয়া। স্থানীয়রা মাটি কাটার কারণ রতনকে জিজ্ঞেস করলে বলে স্থানীয় আবদুল বারেক এর নিকট থেকে সে এই মাটি কিনেছে এবং তা কেটে ট্রলারে করে নিয়ে অন্যত্র বিক্রি করছে।খালের সুইচ গেইটের দক্ষিণ পশ্চিম দিক থেকে প্রায় ২০ হাজার স্কয়ার ফিট মাটি ইতোমধ্যে রতন- বারেক নামের স্থানীয় একটি চক্র বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করেছে।খালের পাড়ের এই মাটি কাটার কারণে বন্যা মৌসুমে এলাকাবাসী ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছে।তাছাড়া মানুষের চলাচল অযোগ্য হয়ে পরেছে।
মাটি কেটে নেওয়ার ফলে সরকারি খালের পাড়ের চলাচলের রাস্তা স্থায়ী ভাবে নষ্ট হয়ে গেছে যা এলাকা বাসীর জন্য অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। বিষয়টি এলাকাবাসী নাম (প্রকাশে অনিচ্ছুক) প্রশাসনকে জানানোর পরেও কোন প্রকার আইনগত ব্যবস্থা না নেওয়ায় এলাকাবাসী হতবাক।জানা যায় ওই এলাকার রতন-বারেক চক্র দীর্ঘদিন যাবত মাটি চুরি ও বিক্রির সাথে জড়িত বলে জানায়। তারা আরো জানায় স্থানীয় এক শ্রেণীর দালাল ও নেতৃস্থানীয় লোক এদের আশ্রয় প্রশ্রয় দেয়ার কারণে এসব অপকর্ম করে মানুষের ক্ষতি সাধন করছে।স্থানীয় ইউ পি চেয়ারম্যান ওমর ফারুক জানান,আমি খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক মাটি কাটা বন্ধ করে দেই। এখন আর তারা মাটি কাটছে না।২০ হাজার স্কয়ার ফিট মাটি কেটে নিয়ে যাওয়ার কারণে মানুষের চলাচল অযোগ্য ও বন্যায় তলিয়ে যাওয়ার বিষয়ে বললে তিনি কোনো সঠিক উত্তর দিতে পারেন নাই। এলাকাবাসীর অভিযোগ প্রশাসনকে মেনজ করেই এমন কাজ করছে বলে মাটি কাটার এই চক্রটি সর্বদা বলে বেড়ায়।এলাকাবাসি আরো জানান বিষয়টি পূর্বধলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) নাসরিন বেগম সেতু ও নেত্রকোণা জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমানকে জানানো হয়েছে।রতন ও বারেক এর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।