রংপুরর পীরগঞ্জ উপজেলার পাঁচগাছি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সেকেন্দার আলী কর্মসৃজন কর্মসূচির শ্রমিকদের দিয়ে টানা ৫ দিন নিজের পুকুর খনন করে নিয়েছেন। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় বসবাস করছেন না এমন ৪ জন মহিলা শ্রমিকের ভুয়া নাম দিয়ে ৪ জনেরই ৪০ দিনের বিল কৌশলে সম্পুর্ন উত্তোলন পুর্বক পকেট ভর্তি করেছেন। বিষয়টি এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অভিযোগ দেয়া হলে তা তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট ট্যাগ অফিসার আতোয়ার হোসেনকে দায়িত্ব দেয়া হয়। আতোয়ার হোসেন তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাবার পর মাসাধিককাল সময় অতিবাহিত হলেও তিনি রহস্যজনক কারনে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেননি। অবিযোগে জানা গেছে,পাঁচগাছি ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য সেকেন্দোর আলী গত ২ বছর ধরে ওই ৪ জন মহিলা শ্রমিকের নাম দিয়ে বরাদ্দকৃত টাকা উত্তোলন করে আসছেন। কাগজপত্রে ৪ জনকে এলাকার শ্রমিক দেখানো হলেও দীর্ঘদিন ধরে তারা জীবিকার তাগিদে ঢাকায় বসবাস করেন। বিআরডিবি তে কর্মরত আতোয়ার হোসেনকে ট্যাগ অফিসার হিসেবে এসব দেখাশোনার দায়িত্ব দেয়া হলেও তিনি তা পালন করেন না কোনদিনও। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল লতিব বলেন-ইউপি সদস্য সেকেন্দার আলীর বিরুদ্ধে এর আগেও এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন-তদন্ত রিপোর্ট পাবার পর প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।