দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে রাজশাহীতে আয়োজিত মানববন্ধন সমাবেশে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র এ.এইচ.এম. খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বারবার হত্যার চেষ্টা চালানো হয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে এই দেশের বিরুদ্ধে এভাবেই চক্রান্ত চলছে। তবে সেই সকল চক্রান্ত নস্যাৎ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে দেশ আজ এগিয়ে চলেছে। ভবিষ্যতে আরও এগিয়ে যাবে। আর সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে বিশ্ব দরবারে 'বাংলাদেশ' হবে রোল মডেল।’ ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে ও এর নেপথ্যের কুশীলবদের বিচারের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধন সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে রাজশাহী মহানগরীর সাহেব বাজার জিরোপয়েন্টে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন সমাবেশ করা হয়।
সমাবেশে সিটি মেয়র বলেন, আজকের এই দিনে বাংলাদেশের ৬৩টি জেলায় পাঁচশ’র বেশি বোমা ফাটানো হয়েছিল। এই সিরিজ বোমা হামলার উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল। এর আগে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। ষড়যন্ত্রকারীরা আওয়ামী লীগ বিরোধী একটি ক্ষেত্র তৈরির পর ইতিহাসের সবচেয়ে বর্বর ও নৃশংস এই হত্যকাকা- ঘটিয়েছিল।
মেয়র লিটন বলেন, বিএনপি জোট সরকারের প্রত্যক্ষ মদদেই জঙ্গিরা ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারাদেশে একযোগে সিরিজ বোমা হামলা ঘটিয়েছিল। তখনকার সরকারের নির্লিপ্ততায় আজও বিচার পুরোপুরি সম্পন্ন হয়নি। ওই ঘটনায় জড়িতদের বিচার সম্পন্ন ও জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে।
এ সময় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে লিটন বলেন, তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করেছে। তবে তারা অস্ত্রের মাধ্যমেই ক্ষমতা দখল করেছে। কিন্তু এখন তারা কিভাবে সরকার গঠন করবে এটা তাদের বিষয়। এটা নিয়ে উৎফুল্ল হওয়ার কিছু নেই। তবে আমাদের দেশের অনেকে ভাবছে আমরা এখন অস্ত্র পাবো, ট্রেনিং পাবো। কিন্তু যতদিন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগ্রত থাকবে ততদিন কারও কোনো অসৎ উদ্দেশ্য বা ষড়যন্ত্র এ দেশের মাটিতে সফল হবে না।
মহানগর আওয়ামী লীগের আয়োজিত মানববন্ধন সমাবেশে অন্যদের মধ্যে মেয়রপতœী ও রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহীন আকতার রেনী, বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসলাম সরকার, মীর ইশতিয়াক আহমেদ লিমন প্রমুখ বক্তব্য দেন। মানববন্ধন সমাবেশে মহানগর আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।