একবছরেও শ্রমিকলীগ নেতা মামুন রাঢ়ীর হত্যা মামলার কোন ক্লু উদ্ঘাটন করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বর্তমানে চাঞ্চল্যকর এ মামলাটি সিআইডি তদন্ত করছেন। বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) মামুন রাঢ়ীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী।
নিহত মামুন রাঢ়ী জেলার উজিরপুর উপজেলার বামরাইল ইউনিয়নের উত্তর মোড়াকাঠী গ্রামের আব্দুছ ছালাম রাঢ়ীর পুত্র। ইতোমধ্যে একাধিকবার শ্রমিকলীগ নেতা ও ইজিবাইক চালক মামুন রাঢ়ীকে নৃংশসভাবে হত্যাকারীদের দ্রুত চিহ্নিত করে গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন এলাকাবাসী।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিআইডি’র জেলা পর্যায়ের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলাটি অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তবে পুরো বিষয়টি ক্লুলেজ হওয়ায় একটু সময় বেশি লাগছে। তবে খুব শীঘ্রই ঘটনার মূলরহস্য বেরিয়ে আসবে।
সূত্রমতে, গতবছরের ১৯ আগস্ট দিবাগত রাতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদীর বাটাজোর বন্দর থেকে নিজের ইজিবাইকে যাত্রী নিয়ে বের হয়ে নিখোঁজ হন মামুন রাঢ়ী (২৯)। নিখোঁজের আটদিন পর (২৬ আগস্ট) দুপুরে গৌরনদীর বার্থী হাইস্কুল সংলগ্ন খালের মধ্যে থেকে গলাকাটা, হাত-পা ও মুখ বাঁধা অর্ধগলিত অবস্থায় মামুনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের পিতা বাদি হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘদিন থানা পুলিশ তদন্ত করে কোন ক্লু কিংবা নিহত মামুনের নিজের ইজিবাইকটিও উদ্ধার করতে পারেনি। পরবর্তীতে আদালতের মাধ্যমে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় সিআইডি পুলিশকে।