জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টাকারীরা দেশকে পিছিয়ে দিতে চেয়েছিলো। তারা আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও বঙ্গবন্ধু কন্যাকে মেরে ফেলে দেশকে রাজনৈতিক মেধাশূণ্য করার ষড়যন্ত্রে মেতে ছিলো। তাদের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের দরবারে মাথা উচু করে দাঁড়িয়েছে। এ কথা বলেছেন ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও হা-মীম গ্রুপের স্বত্তাধীকারী এ কে আজাদ। তিনি শনিবার সন্ধ্যায় ফরিদপুরে বীরমুক্তিযোদ্ধা লাবলু সড়কে ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন।
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভাটি কার্যত বিশাল জনসভায় পরিনত হয়। সেখানে ভয়াল ২১ আগষ্টের স্মৃতিচারন করে এ কে আজাদ আরো বলেন, এই হামলায় আওয়ামী লীগের বর্তমান প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ ও আব্দুর রহমানসহ ফরিদপুরের অনেক নেতাই আহত হয়েছিলেন। যারা এই হামলায় নিহত হন, তাদের আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, আসুন আমরা বর্তমান বাস্তবতার নিরিখে দাড়িয়ে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য এক যোগে কাজ করি। তিনি বলেন, এই অঞ্চলের যুবসমাজের বেকারত্ব বিমোচনের জন্য একটি স্পেশাল ইকোনোমিক জোন প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করি।
সভায় বক্তব্য রাখেন, প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা বিপুল ষোঘ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড. শামসুল হক ভোলা মাস্টার, সহ-সভাপতি শামীম হক, আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুল আহাদ সেলিম, যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ফারুক হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুল হাসান মিঠু, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ঝর্ণা হাসান, মাসুদুল হক মাসুদ ও মাইউদ্দীন আহমেদ মানু, ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র অমিতাভ বোস, ফরিদপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মোল্যা, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আইভী মাসুদ, জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক জাহিদ ব্যাপারী, দপ্তর সম্পাদক এ্যাড. অনিমেষ রায়, ফরিদপুর সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শামচুল আলম চৌধুরী, জেলা স্বেচ্ছা সেবক লীগের সভাপতি শওকত আলী জাহিদ, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আক্কাস হোসেন, শহর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক রাহাত খান, জেলা ছাত্র লীগের সভাপতি তামজিদুর রশিদ রিয়ান। এছাড়াও মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা শাহ্ আলম মুকুল, জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি যশোদা জীবন দেবনাথসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সভার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহা তার বক্তব্যে বলেন, আমরা অল্পের জন্য আমাদের প্রিয় নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার জীবন বেঁচে গেলেও আইভী রহমানসহ যারা শহীদ হয়েছেন জাতি তাদের আত্মত্যাগের কথা চিরদিন স্মরন রাখবে। তিনি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ফরিদপুরের বর্তমানে সংগবদ্ধ জেলা আওয়ামী লীগকে আরো দৃঢ় ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মাসুদ হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, আগষ্ট আসলেই আমরা ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাই। জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা কারীরা এখও থেমে নেই, তাদের ষড়যন্ত্র এখনো চলছে। তাই এই আগষ্টে আমাদের নতুন করে শপথ নিতে হবে, আমরা নিজেরা আরো ঐক্যবন্ধ হয়ে জঙ্গী বাদ ও মৌলবাদকে রুকে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অসম্প্রদায়িক ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তুলবো।