ভারি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে ফরিদপুরে পদ্মার পানি গত ৫ দিন যাবত বেড়েই চরেছে। ফলে দেশের মধ্য অঞ্চলের এই জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। পানি বন্ধী হয়ে পড়েছে জেরা প্রায় হাজার হাজার মানুষ। পানিবন্দী মানুষের মাঝে ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করেছে প্রশাসন। এদিকে পানি বৃদ্ধির ফলে দেখা নিয়েছে নদী ভাঙ্গন। ভাঙ্গছে কাঁচা-পাঁকা সড়ক, ফসলী জমি ও বসত ভিটা।
গোয়ালন্দ পয়েন্টে গত ২৪ ঘন্টায় ৭ সেন্টিমিটার পদ্মার পানি বৃদ্ধি পেয়ে তা এখন বিপদ সীমার ৪৮ সে.মি মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল, ডিক্রিরচর, চরমাধবদিয়া ও ইমান গোপালপুর ইউনিয়নের ৫০ টি গ্রামের ৬ হাজার পরিবার পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। এদিকে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে ডিক্রিরচর ইউনিয়নের দুটি গ্রামে বাঙ্গন দেখা দিয়েছে।
ডিক্রিরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিন্টু বলেন, আমার ১২টি গ্রাম বন্যা কবলিত। আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা আছে। পানি বৃদ্ধি অবহত থাকলে পানি বন্দি মানুষদের আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হবে। এদিকে সকালে আইজউদ্দিন মাতুব্বরের ডায্গী ও নাজির বিশ্বাসের ডাঙ্গীতে পানি বন্ধী মানুষের মাঝে ত্রান বিতরণ করা হয়েছে।
রবিার সদর উপজেলার ডিক্রিরচর ইউনিয়নের নাজির বিশ্বাসের ডাঙ্গী ও আইজউদ্দিন মাতুব্বরের ডাঙ্গীতে ত্রাণ বিতরণ করেন। এ সময় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নুরুনাহার বেগম ত্রান ও গো-খাদ্য বিতরণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ডিক্রিরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিন্টু, ইউপি সদস্য মনোয়ার হোসেন।
নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাকুজ্জামান জানান, তার ইউনিয়নের ১৪টি গ্রামের ১৩শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পেড়েছে। পানি বন্দী মানুষের মাঝে ত্রান বিতরণ অব্যহত আছে।
ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মৃকর্তা মো. মাসুম রেজা বলেন, পানিবন্দী মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরন করা হচ্ছে। প্রশাসনের কাছে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার, শিশু খাদ্য ও গবাদি পশুর খাদ্য মজুদ আছে। আশ্রয় কেন্দ্রে বন্যা দুর্গতদের নিরাপদ স্থানে রাখার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।