আফগানিস্তানের ক্ষমতা এখন তালেবানের হাতে। ফলে আফগান বাহিনীকে দেয়া বিপুল পরিমাণ মার্কিন সামরিক সরঞ্জাম ও গোলাবারুদের মালিক এখন তারা। যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি আধুনিক বিভিন্ন সমরাস্ত্র তালেবানের হাতে চলে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পেন্টাগন। গত দুই দশক ধরেই আফগান সামরিক বাহিনীকে বিভিন্ন ধরনের আধুনিক অস্ত্র, সামরিক যান, গোয়েন্দা নজরদারির বিভিন্ন সরঞ্জাম ও হেলিকপ্টার সরবরাহ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন ও ন্যাটো সেনারা আফগানিস্তান ছাড়ার পর এই বিপুল পরিমাণ সমরাস্ত্র পেয়ে গেছে তালেবান। তালেবানের দখলে কী পরিমাণ অস্ত্র ও সাঁজোয়া যান রয়েছে তা মার্কিন কর্মকর্তারা নির্দিষ্টভাবে বলতে না পারলেও এরইমধ্যে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পেন্টাগন। মার্কিন সেনাদের জন্য হুমকির কারণ না হলেও এখনই বিমান হামলা বা অন্য কোনোভাবে এসব অস্ত্র ধ্বংস করার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে সিএনএনকে জানিয়েছেন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। সেনা প্রত্যাহারের শেষ কয়েক সপ্তাহে আফগানিস্তানে কয়েক দফায় সমরাস্ত্রগুলো ধ্বংস করার কথা ভেবেছিল বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। তবে আফগান সেনারা যেন যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারে সেজন্য এসব সমরাস্ত্র ধ্বংস করেনি তারা। দীর্ঘদিন ধরে কালাশনিকভ, একে-ফোরটি সেভেনের মতো অস্ত্র দিয়ে যুদ্ধ চালিয়ে এসেছে তালেবান। এখন তাদের হাতে এসে গেছে এম-ফোর কার্বাইন এবং এম-সিক্সাটনের মতো অত্যাধুনিক সব সমরাস্ত্র। মার্কিন সেনাদের ব্যবহৃত অস্ত্রাগার ছাড়াও তালেবানের নিয়ন্ত্রণে এসেছে হামভি ও মাইন প্রতিরোধক অ্যাম্বুশ প্রটেক্টেড গাড়ি। এমনকি, যুক্তরাষ্ট্রের এ টুয়েন্টি নাইন সুপার টুকানো যুদ্ধবিমান, ব্ল্যাকহক, স্কাউট অ্যাটাক, স্ক্যান ঈগল মিলিটারি ড্রোন’সহ দুই শতাধিক হেলিকপ্টার পেয়েছে তালেবান। বিশাল অস্ত্রাগার আর আধুনিক যুদ্ধযান নিয়ন্ত্রণে নিলেও বিশেষ প্রশিক্ষণ ছাড়া তালেবান যুদ্ধবিমানগুলো পরিচালনা করতে পারবে না বলেই মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র।