রাজশাহীতে এবার ৩ লাখ ৬৭ হাজার ১০৮ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর এই ক্যাম্পেইনটি সফলভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে রাজশাহী সিভিল সার্জন অফিসের আয়োজনে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় রাজশাহী সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন বিষয়ে সাংবাদিকদের সামনে সকল কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরা হয়।
রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. আবু সাইদ মোহাম্মদ ফারুকের সভাপতিত্বে সভায় জানানো হয়, বাংলাদেশ থেকে অপুষ্টি জনিত অন্ধত্ব নির্মূল ও শিশুমৃত্যু প্রতিরোধে সরকার বদ্ধ পরিকর। এ লক্ষ্যে সরকার সারা দেশে আগামী ১ জুন সকাল ৮টা থেকে দিনব্যাপী ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। ওইদিন ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুদেরকে নীল রঙের এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সীদের লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। তবে অসুস্থ শিশুদের কোনভাবেই খাওয়ানো যাবেনা বলেও সতর্ক করা হয়। আর সুস্থ শিশুদের ক্ষেত্রে ঘুমানো ও কান্নারত অবস্থায় থাকলে কিংবা জোর করেও কাউকে ভিটামিন ‘এ প্লাস’ ক্যাপসুল না খাওয়ানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়।
আর এই ক্যাম্পেইনের কার্যক্রম সফল করার লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই মহানগরীসহ রাজশাহীর ৯টি উপজেলার শিশুদের ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য স্থায়ী, অস্থায়ী ও ভ্রাম্যমান মিলে মোট ৫৬৩৮টি কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে মহানগরীর ৩৭৩ কেন্দ্রে ৬৪ হাজার ৮৮৪ শিশুকে এবং রাজশাহীর ৯ উপজেলার ৫২৬৫টি কেন্দ্রে ৩ লাখ ২ হাজার ১৭৯ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। আর এ কর্মযজ্ঞে ১৬ হাজার ৮৪১ কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী নিয়োগ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. আবু সাইদ মোহাম্মদ ফারুক। ক্যাম্পেইনটি সফলভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সকলের আন্তরিক সহযোগিতাও কামনা করেন তিনি।
মতবিনিময় সভায় ডা. মাহাবুবা ফারুক (ডিইএস) ও ডা. তামান্ন কবিরসহ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।