দালালের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকার জন্য এলাকার নিরিহ গ্রামবাসীকে বিভিন্ন ধরনের মামলায় জড়ানোসহ থানায় এনে নির্যাতনের অভিযোগে মঙ্গলবার দুপুরে ওসি’র বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক ভুক্তভোগী।
শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবে শফিকুল ইসলাম নামের ওই ভুক্তভোগী সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থানার তুষখালী এলাকার একাধিক মামলার আসামি প্রভাবশালী বিএনপি নেতা ছগির মিয়া সম্পতি সময়ে আওয়ামী লীগের যোগদান করে এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। থানার দালাল হিসেবেখ্যাত ছগিরের মাধ্যমে ওসি নুরুল ইসলাম বাদল তাকেসহ (শফিকুল) এলাকার অসংখ্য নিরিহ ব্যক্তিদের মোটা অংকের টাকার জন্য বিভিন্ন মামলায় জড়ানোর হুমকি দিয়ে হয়রানী করে আসছে।
শফিকুল ইসলাম বলেন, গত ২১ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ওসি নুরুল ইসলাম বাদল পুলিশ দিয়ে বিনা অভিযোগে আমাকে থানায় ধরে নিয়ে যায়। থানায় গিয়ে আমার নামে কি অভিযোগ আছে জানতে চাইলে ওসি আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, আমি কেন ছগির মিয়ার কথা শুনিনা। পরবর্তীতে আমাকে বিভিন্ন মামলায় জড়ানোর হুমকি দিয়ে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। বিনাকারনে আমি টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ওসি আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়।
ওইদিন রাত আনুমানিক ১১টার দিকে থানার দালাল ছগির মিয়া ও তুষখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের পুত্র শামীম ওসির রুমে প্রবেশ করে। একপর্যায়ে ওসির সামনে বসে ছগির মিয়া আমাকে মারধর করেন। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে আমাকে থানা হাজতে রাখা হয়। এরপর ছগির মিয়ার নির্দেশে ছোট মাছুয়া গ্রামের তাসলিমা বেগমকে বাদী বানিয়ে মারামারির একটি মিথ্যা মামলায় আমাকে আসামি বানিয়ে পরেরদিন আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। ওই মামলায় আমি ২০দিন কারাভোগের পর জামিনে বের হওয়ার পর পুরো ঘটনার বিচার চেয়ে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ছগির মিয়া ও থানার ওসি পূর্ণরায় আমাকে মামলায় জড়ানোর হুমকি প্রদর্শন অব্যাহত রেখেছে।
এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়ায় থানার ওসি নুরুল ইসলাম বাদল বলেন, ঘুষ দাবির বিষয়টি সঠিক নয়। অভিযোগকারী শফিকুল ইসলামের সাথে থানায় বসে ছগির মিয়ার সমঝোতার একপর্যায়ে ছগিরকে মারধর করতে তেড়ে আসলে আমি নির্বৃত্ত করেছি। মঠবাড়িয়ায় উপজেলার তুষখালী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য ছগির মিয়া বলেন, শফিকুলের অভিযোগের কোন সত্যতা নেই। আমি তাকে মারধর করিনি। ইতঃপূর্বে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা থাকলেও বর্তমানে সব মামলা সমাধান হয়ে গেছে।