লাকসামে মায়ের সাথে অভিমান করে মায়ের ওড়না গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে ছেলে। সে কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার ব্রাক অফিসে মহিলা কর্মকর্তার ছেলে। গতকাল পূর্ব লাকসাম ইউনিয়ন নরপাটি গ্রামের জাকির পন্ডিত বাড়ির বসত ঘরে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, লাকসাম উপজেলার নরপাটি গ্রামের জাকির পন্ডিত বাড়িতে পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকেন নরপাটি শাখা ব্রাক অফিসের মহিলা কর্মকর্তা নাসরিন আক্তার। নাসরিন আক্তার ও তার ছেলে বাদল মিয়া (১৮) কে নিয়ে ওই বাসায় বসবাস করেন। বাদলের বাবা কাউছার আহমদ বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে কুমিল্লায় চাকরি করেন। স্ত্রী ও সন্তানের খোঁজ খবর নিতে মাঝে মধ্যে দেখা করতে লাকসামের পন্ডিত বাড়িতে আসতেন বাদলের বাবা। ছেলে বাদল মিয়া প্রেমের সম্পর্কে নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে মা ছেলের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। গতকাল সকালে ছেলে বাদলকে বাসায় রেখে অফিসে যায় মা নাসরিন। বাদলের মা দুপুরে অফিস থেকে বাসায় এসে দেখেন ঘরে থাকা তার ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে বাদল। মায়ের আত্মচিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে এসে বাদলকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিলে কর্মরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হলে নিহত বাদলের মা নাসরিন আক্তার সন্তানের লাশ নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নিজ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যায়। জাকির হোসেন পন্ডিত বলেন আমার বাসায় এমন একটি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে শুনেছি। তবে লাশ নিয়ে ভাড়াটিয়া উধাও হয়েছে। খবর পেয়ে লাকসাম থানা পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে লাশ না পেয়ে ফিরে আসেন। নিহত বাদলের মা নাসরিনের মুঠোফোন যোগাযোগ করলে তিনি বলেন ছেলেকে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাচ্ছি পড়ে কথা বলবো ভাই। এ বিষয়ে লাকসাম থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ মেজবাহ উদ্দিন ভুইয়া বলেন আত্মহত্যার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। কিন্তু ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ পাওয়া যায়নি।