রাজশাহীর বাঘায় পদ্মায় জলমগ্ন অসহায়রা পানি ডিঙ্গিয়ে ত্রাণ নিয়ে যেতে দেখা যায়। রোববার (২৫ আগষ্ট) উপজেলা প্রশাসনের বিতরণকৃত ত্রাণ চরের অসহায়রা পানি ডিঙ্গেয়ে নিয়ে যায়।
জানা যায়, পদ্মার মধ্যে সুলতানপুর, খানপুর, চাদপুর, করারি নওশারা ১৫টি চরের সাড়ে ৩ হাজার পরিবার জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। তাদের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খানপুর জেপি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ২৫০টি পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। তারা ১০ কেজি চাল, ১ লিটার সয়াবিন, ১ কেজি মসুরের ডাল, ১ কেজি আলু, ১ কেজি পেয়াজ, ১ কেজি লবণ নিয়ে পানি ডিঙ্গিয়ে মাথায় করে নিয়ে যায়।
পদ্মার চর পানিতে তলিয়ে যাওয়া খানপুর জেপি উচ্চ বিদ্যালয়সহ উঁচ্চ স্থানে শত শত পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন। তারা বর্তমানে মানবেতর জীবন যাবন করছে।
সুলতানপুর চরের আবদুর রহিম বলেন, খুব কষ্টে আছি। বাড়ির মধ্যে পানি। থাকার জায়গা নেই। ত্রাণ নিয়ে পানি ডিঙ্গিয়ে বাড়ি ফিরছি। কি করবো কোন কাজ নেই। গরু-ছাগল নিয়েও বেকায়ধায় আছি।
ত্রাণ বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়াম্যান লায়েব উদ্দিন লাভলু, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শামীম আহম্মেদ, গড়গড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম, খানপুর জেপি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
এদিকে চকরাজাপুর ইউনিয়নে ২০ আগস্ট চৌমাদিয়া, আতারপাড়া, দিয়াড়কাদিরপুর এলাকার ৫০০ পরিবারের মাঝে ও ২২ আগস্ট পরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর নিজ অর্থায়নে ১ হাজার ৫০০ পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া ব্যক্তিগতভাবে খাদ্য সহায়তা প্রদান অব্যাহত রয়েছে।
এ বিষয়ে পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আজিজুল আযম জানান, গত প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে সাড়ে ৩ হাজার মানুষ জলমগ্ন অবস্থায় রয়েছে। চারদিকে থৈ-থৈ করছে পানি। অনেকেই ঘরের মধ্যে চৌকির পরিবর্তে বাঁসের ঘুটি দিয়ে মাঁচান তৈরী করে বসবাস করছেন। আবার অনেকেই ঘর বাড়ি ভেঙ্গে উঁচু জায়গায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। ফলে তাদের দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট।