খুলনার পাইকগাছায় সম্পত্তির লোভে মাকে অপবাদ দিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়ে বৌ-বাচ্চা ও শাশুড়িকে নিয়ে বিল্ডিং বাড়িতে থাকেন ছেলে। আর মা থাকেন অন্যের বাড়িতে রান্না ঘরে। প্রায় আড়াই বছর যাবৎ আত্মীয়স্বজন সহ অন্যের বাড়িতে মানবেতর জীবনযাপন করছে হতভাগী মা মেহেরুন নেছা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে। স্বামীর ভিটায় ফিরতে থানায় একাধিক জিডি করেও প্রতিকার না পেয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্থানীয় এমপি, আইজিপি, খুলনা ডিসি, ডিআইজি, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ গুরুত্বপূর্ণ ১০টি দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের সূত্র ধরে সরেজমিনে যেয়ে জানাযায়, উপজেলার গোপালপুর গ্রামের মৎস আড়ৎদার ব্যবসায়ী রাজ্জাক গাজী ওরফে নিজ্জাত গত ৩১ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে ১স্ত্রী, ১পুত্র ও ১কন্যা ওয়ারিশ রেখে মারা যান। মৃত্যুর পর পিতার বাড়ি ও সহায় -সম্পদ নিয়ে মায়ের সাথে প্রায় ঝগড়া হয়। পুত্র ও পুত্রবধূ ও ছেলের শাশুড়ীর অত্যচার এবং মিথ্যা অপবাদ বাড়িতে থাকায় নিরুপায় হয়ে মা মেহেরুন নেছা বাড়ি ছেড়ে বাবার, মেয়ে ও প্রতিবেশির বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। বর্তমানে তিনি প্রতিবেশির এক রান্না ঘরে মানবেতর জীবনযাপন করলেও একটুও মন গলেনি ছেলে সাইফুলের। সাইফুল মুঠোফোনে জানান, আমার পিতার মৃত্যুর পর মা অন্য যায়গায় বিবাহ করে। বিবাহের কোনো প্রমান পত্র আছে কিনা প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন কাবিননামা পাওয়া যায়নি তবে লোক মুখে শুনেছি ও প্রতিবেশীরা বলে তার মা মেহেরুননেছা বিবাহ করেছেন। সেজন্য মা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। হতভাগী মা মেরুননেছা বলেন, আমার স্বামীর সৃত্যুর পর সব সম্পত্তি ছেলে দখল করার জন্য তার বৌ ও শাশুড়ীর পরামর্শে আমার উপর অমানবিক মানুষিক অত্যাচার করে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমাকে বাড়ি থেকে বের হতে বাধ্য করে। আমি বর্তমানে অন্যর বাড়ির রান্না ঘরে চরম মানবেতর জীবনযাপন করছি। আমি আমার স্বামির ভিটায় ফিরতে চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহযোগিতা কামনা করছি।